প্রীতি পোদ্দার, হাওড়া: এর আগে বেশ কয়েকবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় জাল লটারি (Lottery) রমরমা কারবার নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠে এসেছিল। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি লটারি বিক্রির সাথে সাথে গোপনভাবে জাল লটারি বিক্রি করে লটারি ব্যবসায়ীরা। সরকারি লটারি পুরস্কার প্রাপ্ত নম্বরের অনুকরণ করে এই লটারি খেলা হয়। আবার যদি জাল লটারিতে কেউ মোটা অংকের পুরস্কার পায় তাহলে তা দিতে অস্বীকার করে লটারি ব্যবসায়ী এমনও ঘটনা ঘটেছে অতীতে। তবে সম্প্রতি পুজোর সময় এর কারবার যেন আরও বেড়ে গিয়েছে।
অবৈধ লটারি বিক্রির রমরমা হাওড়ায় | Howrah Illegal Lottery |
জানা গিয়েছে পুজোর মরসুমকে কেন্দ্র করে এই নিষিদ্ধ লটারির ঠেক গজিয়ে উঠেছে হাওড়ার সাঁকরাইল, আন্দুল, আলমপুর, নাজিরগঞ্জের মতো বিভিন্ন এলাকায়। আর যে সকল নিষিদ্ধ লটারির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি মধ্যে কোনোটির নাম জিতো জোকার। কোনওটার নাম কলকাতা ফটাফট বা বম্বে ঝটপট। ১০ টাকার টিকিট যেমন পাওয়া যায় ঠিক তেমনই ১০০ টাকার টিকিটও পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে যেখানে থেকে অস্থায়ী, ভাঙাচোরা দরমা ঘেরা ঘরগুলি থেকেই দেদার বিক্রি চলছে নিষিদ্ধ অনলাইন লটারি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এক-একটি ঠেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার পর্যন্ত খেলা হয়। অভিযোগ, এমনই ২০-২২টি ঠেকে এই লটারি খেলা ঘিরে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা
আর এই নিষিদ্ধ লটারিতে বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা এই লটারির ঠেকগুলিতে নিষিদ্ধ লটারি খেলতে যাচ্ছেন বেকার যুবক বা দৈনিক মজুরিতে খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা। লটারিতে টাকা উপার্জনের আশায় ক্রমাগত নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আলমপুর এলাকার তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন যে, ‘‘পুলিশ এক সময়ে এই সব বন্ধ করে দিয়েছিল। পুজোর আগে ফের রমরম করে লটারি শুরু হয়েছে। আমরা পুলিশকে বার বার বলছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই খেলা বন্ধ হচ্ছে না। লটারির নেশায় মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।’’
এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন যে, ‘‘এই বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এই ধরনের লটারি আগেই বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে যদি কেউ এই লটারি বেচাকেনা আবার শুরু করে তাহলে ফের পুলিশি অভিযান করে এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।