প্রীতি পোদ্দার: এখনও দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে রয়েছে। তার মধ্যেই ফের গভীর নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। আর এই দুর্যোগে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন রাত উঠতে বসতে কেন্দ্রকে বন্যা হওয়ার পিছনে অন্যতম কালপ্রিট হিসেবে কথা শুনিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে ফের জল ছাড়ল DVC।
নিম্নচাপের আবহে ফের জল ছাড়ল DVC
গত মঙ্গলবার থেকে একনাগারে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে উত্তর থেকে দক্ষিণে। তার উপর ডিভিসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ মাইথন জলাধার থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল, পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১২ হাজার কিউসেক জল ও দুর্গাপুর জলাধার থেকে ৩২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে নিম্ন দামোদর অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। ঘর ছাড়া বহু মানুষ। এর মধ্যে নতুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ছোটনাগপুরের মালভূমিতে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে নতুন করে জল ছাড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। দুশ্চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। এদিকে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছিল। আবার জল কমেছিল উদয়নারায়ণপুরের এলাকাতেও। তবে ফের জল ছাড়ার পরিস্থিতিতে আবার সংকটের মুখে পড়তে চলেছে এলাকাগুলি।
সাহায্যের হাত বাড়াল DVC
তবে DVC র তরফ থেকেও বাংলায় বন্যায় কবলিত মানুষের সাহায্যে ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ DVC একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের কর্মীদের উদ্দেশে৷ সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মীকে আবেদন করে জানানো হয়েছে, বাংলায় যে বন্যা হয়েছে সেখানে ত্রাণের জন্য একদিনের বেতন সকলকে দেওয়ার ৷ তবে সেটি বাধ্যতামূলক নয়। যারা এই আবেদনের পরেও সাহায্য দেবেন না, তাঁদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইমেল করে জানাতে হবে ৷ তবেই তাদের একদিনের বেতন কাটা যাবে না।