ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে ভারতীয় রেল। বর্তমানে বন্দে ভারত ভারতীয় রেলের সবথেকে দামি ট্রেন হলেও বুলেট ট্রেন নিয়েও অনেকটাই কাজ এগিয়ে গিয়েছে। রেল সূত্র মতে আগামী ২-১ বছরের মধ্যেই হয়ত ভারতে প্রথম বুলেট ট্রেনের চাকা গড়াবে। এদিকে বন্দে মেট্রোরও ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। আগামী দিনে স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যের জন্য এই ট্রেনকেই ব্যবহার করবে ভারতীয় রেল। তবে এখন রেলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক দুর্ঘটনা। বিগত কয়েক মাসে একাধিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশে। যার জেরে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। আর এই কারণে রেল এখন কবচ সিস্টেমকে গোটা দেশে চালু করতে চায়। কিন্তু তা চালু হতে আপাতত বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে বলেই জানা যাচ্ছে।
তবে এত কিছুর মধ্যে সুখবর পেল বাংলা। এবার বাংলায় আরেকটি নতুন লাইনে কাজ শুরু করতে চলেছে রেল। বছরের পর বছর ধরে স্বরূপনগর ও মছলন্দপুরের বাসিন্দারা রেলপথের দাবি করে আসছিল। এবার সেই দাবি পূরণের পথে। এই ১৪.৩০ কিমি রেলপথ নিয়ে মুখ খুলেছে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। পূর্ব রেলের আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘মছলন্দপুর-স্বরূপনগর রেলপথের জন্য সমীক্ষা ও মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’
রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ১৪.৩০ কিমি রেলপথের সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে বরাত পাওয়া একটি সংস্থা। এই নিয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরেই এই মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর অবধি রেলপথের জন্য রেলমন্ত্রী থেকে সংশ্লিষ্ট মহল, সব জায়গায় দাবি জানিয়ে এসেছি। এ বার সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে জেনে আমি খুশি। আমার আশা খুব শীঘ্রই এই বহু প্রতীক্ষিত লাইনে ট্রেন ছুটবে।’
আরও পড়ুনঃ অবশেষে ছুটল বন্দে মেট্রো, বাংলায় কবে গড়াবে চাকা? বড় তথ্য দিল রেল
উল্লেখ্য, এই দাবি আজকের নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর অবধি রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় শুধু প্রাথমিক সমীক্ষাই হয়েছিল, আর কিছুই হয়নি। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘মমতার ঘোষণার পর এলাকায় জমির মাপজোক হয়ে গিয়েছিল। এমনকি রেলপথের আওতায় থাকা মানুষদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে আর কোনও কাজ এগোয়নি।’