প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নতুন বছর শুরু হতে আর কয়েক দিন বাকি। আর নতুন বছরে চালু হতে চলেছে একাধিক নতুন নিয়ম। আর সেই আবহে নতুন বছর থেকেই পূর্ব রেলে (Eastern Railway zone) চালু হতে চলেছে নতুন ট্রেনের টাইম টেবিল। আর সেই টাইম অনুযায়ী এবার থেকে পূর্ব রেলের সমস্ত ডিভিশনে লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে। বিশেষত পরিকাঠামো উন্নত হওয়ার কথা মাথায় রেখে পরিবর্তিত সূচিতে বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু করা হচ্ছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে ট্রেনের যাত্রাপথ পথ সম্প্রসারিত করা হয়েছে। সো চেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পূর্ব রেলের মেইন এবং কর্ড শাখা ছাড়াও নৈহাটি-সহ বেশ কিছু শাখায় তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন চালু হতে চলেছে।
ট্রেনের নয়া সময়সূচি
রেলের নতুন সময় সূচি অনুসারে জানা গিয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের ছাড়ার সময়ে রদবদল হতে চলেছে। শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং মেল আগে যেখানে ১০টা ৫ মিনিটে ছাড়া হত এখন তার পরিবর্তে সেই ট্রেন আরও ১০ মিনিট পরে ছাড়বে অর্থাৎ ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে। এছাড়াও হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসটি আগে যেমন দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটে ছাড়ত এখন সেই ট্রেন আরও আগে ছাড়বে। অর্থাৎ দুপুর ২টোয় হাওড়া থেকে ছাড়বে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। অন্যদিকে কলকাতা স্টেশন থেকে যোগবাণী এক্সপ্রেস তার আগের নির্ধারিত সময় ৮টা ৫৫ মিনিটের পরিবর্তে ৯টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে। পাশাপাশি হাওড়া-জামালপুর এক্সপ্রেস যেখানে আগে রাত ১০টা ৪০মিনিটে ছাড়ত এখন সেটি রাত ১১টা ৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
উন্নত পরিষেবা প্রদানে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে
এদিকে ট্রেন এর সংখ্যা বাড়ানো এবং কমানো নিয়ে রেলের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে নতুন বছরে যুক্ত হতে চলেছে বেশ কিছু ট্রেন। জানা গিয়েছে একটি কৃষ্ণনগর-রানাঘাট লোকাল বাড়ছে। দু’টি হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার মধ্যে একটি তারকেশ্বর পর্যন্ত চলবে এবং অপরটি হরিপাল পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়াও, পরিবর্তিত সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে কটি ট্রেন কোন সময় কতক্ষণ পরে স্টেশন ছাড়বে। সবমিলিয়ে দূরপাল্লার ৪২টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের সময় কমানো হয়েছে এবং ৬৩টি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের সময় কমানো হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেন ৫ মিনিট থেকে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত কমানো হয়েছে, ৮টি মেমু, ডেমু এবং EMU ট্রেনের ক্ষেত্রে সময় ৬ মিনিট থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত কমাতে গতি বাড়ানো হবে। ৮৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ৪৪টি ডেমু প্যাসেঞ্জার এবং ১৪৬টি মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলি নতুন নম্বরে চলবে অর্থাৎ ট্রেনের সংখ্যার বদল ঘটবে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।