চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর এই অসস্তি বাড়লো রেশন দুর্নীতি মামলায় বর্তমান সময়ে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলবন্দী রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার এই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডেই এবার বড়সড় বোমা ফাটালো কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
রেশন দুর্নীতির একদম মূলে পৌঁছাতেই বিগত কয়েক মাস ধরেই কাজ করে চলেছে ইতিমধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার অবধি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের খাতিরে ইতিমধ্যে খাদ্য দপ্তরকে চিঠির পর চিঠি লিখেছে ইডি, যদিও সেই চিঠির এক উত্তর এখন অবধি আসেনি বলে অভিযোগ। যদিও পিছু হার মানতে রাজি নয় ইডি। রেশন কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন জিনিস জানতে ফের একবার খাদ্য দপ্তরকে চিঠি পাঠাতে পারে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
মূলত রেশন কার্ডের মাধ্যমেও রেশনে দুর্নীতি হয়েছে কী না সেই উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে ইডি। আর এই মর্মেই বারবার খাদ্য দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ইডি চিঠি লিখে কী জানতে চেয়েছে খাদ্য দফতরের কাছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর। জানা গিয়েছে, ইডির তরফে পাঠানো চিঠিতে খাদ্য দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্যে কতগুলি অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড বা চালু রেশন কার্ড রয়েছে। এছাড়া চালু থাকা রেশন কার্ডের সংখ্যা কত? ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যে মোট কত রেশন কার্ড ছিল? বর্তমানে সেই রেশন কার্ডের সংখ্যা কততে দাঁড়িয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, রেশন কার্ড ডিজিটালাইজেশন হওয়ার সময় রাজ্যে মোট কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে, এই সকল তথ্য জানতে জানতে চেয়েছে ইডি। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক।