প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED এবং CBI যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। যার ফলে এখনও জেলবন্দী শাসকদলের কয়েকজন দাপুটে নেতা। কিন্তু এই আবহে এবার ফের সকাল সকাল তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি (Enforcement Directorate)।
NRI এর কোটাতে জাল নথি জমা
এই তল্লাশি অভিযানে ED সূত্রে জানা গিয়েছে, NRI এর কোটাতে যে নথি জমা দিয়ে ডাক্তাররা অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন সেখানে প্রচুর জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ, একাধিক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে জাল নথি জমা দিয়ে NRI বা অনাবাসী কোটাতে যে চিকিৎসকরা অ্যাডমিশন নিয়ে ডাক্তার হয়েছেন সেখানেই দেখা যাচ্ছে প্রচুর জাল নথি জমা পড়েছে। বেআইনি ভাবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমেই এই জাল নথি তৈরি হয়ছিল এবং কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেই তথ্য ED এর কাছে তুলে ধরায় প্রাথমিক অনুসন্ধান করার পর নতুন করে ECIR করে। তাই সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
২০টি জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা ED। সল্টলেকের বিসি ব্লকের একটি বাড়িতে অল্লাশি চালাচ্ছে ED। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের একজনের আত্মীয় এবং তাঁর নিজের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। শুধু সল্টলেকের বাড়িই নয়, রাজ্য জুড়ে কলকাতা, দুর্গাপুর, বর্ধমান-সহ ২০টি জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চলছে। এছাড়াও ভিনরাজ্যেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।
এদিকে NRI কোটার অধীনে তামিলনাডুতে স্নাতকোত্তর মেডিকেল কোর্সের জন্য যে সকল চিকিৎসক আবেদন করেছে তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ জন তাদের শংসাপত্র জাল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাচন কমিটির দ্বারা একটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চলছে। প্রশ্ন উঠছে সেই টাকা কীভাবে লেনদেন হয়েছিল, কেন এই অনাবাসী কোটাতে জাল নথি জমা দিয়ে অ্যাডমিশন দেওয়া হল বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।