প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা প্রথম কুণাল গুপ্তর ভুয়ো কলসেন্টার চক্রের পর্দা ফাঁস করে। পুরো কারবার চলছিল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে। সেক্টর ফাইভের বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্স পার্কের ১৩ তলায় বিনীত টেকনোলজিস্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক কলসেন্টারের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই যাবতীয় প্রতারণার কাজ চলতো বলে জানা গিয়েছে। এরপর সল্টলেকে একের পর এক ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও তাঁর আরও একটি শখ ছিল।
৩৭ টি ঘোড়া বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
রেসের মাঠে ঘোড়া ছুটিয়ে প্রতারক কুণাল গুপ্ত হতে চেয়েছিলেন লম্বা রেসের ঘোড়া। সারা দেশে যেখানে যত রেসকোর্স আছে, সেখানে ঘোড়া কিনেছিলেন কুণাল গুপ্ত। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রের দাবি, এক একটি ঘোড়ার দাম ৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। মোট ৩৭ টি ঘোড়া তিনি কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এবার সেই ৩৭টি ঘোড়া বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ED। যার বাজার মূল্য ৩৯৮.৫০ লক্ষ টাকা বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে এই প্রতারণা চক্রের টাকা দিয়েই কেনা হয়েছিল ৩৭ টি ঘোড়া।
১৪টি বিলাসবহুল বিদেশি গাড়িও বাজেয়াপ্ত
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কুণালের মোট ৫.২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১.০৮ কোটি টাকার ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে খবর। দেশে কুণালের ১১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। গোয়ায় কয়েক কোটি টাকার মূল্যের একটি রিসর্ট এবং কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে মোট ১২টি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ১৪টি বিলাসবহুল বিদেশি গাড়িও রয়েছে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির তালিকায়। এদিকে ঘটনা সামনে আসতেই গ্রেফতারি এড়াতে দুবাই পালিয়েছেন কুণাল গুপ্ত। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হাতে।
তদন্তকারীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত কুণালের বিরুদ্ধে যে ১২৬ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই টাকার বেশিরভাগই তিনি আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের নামে সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছেন। ED-র দাবি অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওই সব ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে।