প্রাথমিক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি, শিক্ষা দফতরের তোরজোড়ে বিতর্ক তুঙ্গে

Published on:

কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই রাজ্য থেকে শুরু করে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটছে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও ফিরে তাকালে দেখা যাবে সেই সময় আর এই সময়ের পঠন পাঠনে কতটা আকাশ পাতাল তফাৎ হয়ে গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ক্ষেত্রেই ধরা যাক না। আগে সেমিস্টার পদ্ধতি ছিল না, একবার পরীক্ষা মানে তো একবারই। কিন্তু চলতি বছর থেকে দু’বার করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। একবার খারাপ হলেও অন্যটায় সেই ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে এবার প্রাথমিকে ক্লাস নিয়ে বড় ঘোষণা করা হল।

প্রাথমিকে ক্লাস নিয়ে পরিবর্তন

WhatsApp Community Join Now

আপনিও কি সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর পরিকল্পনা করছেন বা ইতিমধ্যে সে প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়ছে? তাহলে আপনার জন্য রইল বড় খবর। এমনিতে বাংলার এমন বহু স্কুল রয়েছে যেগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। ফলে প্রতিটি ব্লক এবং মিউনিসিপ্যালিটি থেকে ১০টি করে প্রাথমিক স্কুল নির্বাচন করে মেরামতির কাজ শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষা দফতর। এখানেই শেষ নয়, আগে প্রাথমিক মানেই হল ক্লাস ১ থেকে ক্লাস ৪ অবধি। তবে এবার প্রাথমিকের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণিকেও যুক্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর বলে খব্র।

চলবে সমীক্ষা

কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, একাধিক প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নতুন ক্লাসঘর তৈরি করে চতুর্থ শ্রেণির সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণিও চালু করা যায় কিনা, তা নিয়েও সমীক্ষা করার কথা হচ্ছে। আর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষক মহল। এমনিতে কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে ২০১৮ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করা শুরু হলেও অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি নেই। এদিকে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করার পাশাপাশি স্কুলগুলিতে আরও বেশি করে শিক্ষক আনার দাবি জানানো হচ্ছে। কিছু শিক্ষক বলছেন, এমন বহু প্রাথমিক স্কুল আছে, যেখানে স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। কোনও স্কুলে হয়তো পড়ুয়া আছে ৫০ জন। শিক্ষক আছেন মাত্র দুজন। সেই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত হওয়ার পরে পড়ুয়ার সংখ্যা হয়তো বেড়ে দাঁড়াল ৭০। সে ক্ষেত্রে ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা না হলে পড়াশোনার মানের অবনতি হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মিড ডে মিল নয়, শিক্ষক চাই! বেহাল দশা বাংলার এই স্কুলে, প্রতিবাদে নামল পড়ুয়ারা

এদিকে ১০টি করে প্রাথমিক স্কুল চিহ্নিত বিষয়টি নিয়েও বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যেমন ‘বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডার অভিযোগ, ‘এর আগেও কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু কোন কোন স্কুলে তা যোগ করা হবে, তা নিয়ে সমীক্ষা ঠিক মতো হয়নি। ফলে এমনও হয়েছে, যে স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করার পরিকাঠামোই নেই, সেখানে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত হওয়ায় সেই পরিকাঠামো আরও খারাপ হয়েছে।’ এখন দেখার আগামী দিনে কী হয়।

সঙ্গে থাকুন ➥