স্মার্ট মিটার বসাতেই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল, ১ হাজারের বদলে এল প্রায় ১২০০০! অভিযোগ হুগলির বাসিন্দার

Published on:

Updated on:

Smart Meter

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: স্মার্ট মিটার (Smart Meter) নিয়ে রাজ্যবাসীর ঝামেলার শেষ নেই। চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছে সকলে। অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জেলায় গ্রাহকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রীতিমতো জোর করে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে নতুন মিটারের চড়চড়িয়ে বাড়ছে বিল। আর এই আবহে এবার বিদ্যুৎ বিলের টাকার অঙ্ক দেখে চোখ কপালে উঠল ব্যান্ডেলের কেওটা শরৎ পার্কের ছাপোষা এক পরিবারের।

বিদ্যুৎ বিল প্রায় ১২০০০ টাকা!

জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেল কেওটা শরৎপার্কের বসবাসকারী দম্পতি সুশান্ত জোশেফ ও পম্পা জোশেফের বাড়িতে গত মাসে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছিল। কিন্তু চলতি মাসে যখন ইলেকট্রিক বিলের তখন দেখা যায় তাদের বিল এসেছে প্রায় বারো হাজার টাকা। স্বামী সুশান্ত জোশেফ কাজের সূত্রে গুজরাটে থাকেন। এদিকে বাড়িতে স্ত্রী পম্পা জোশেফ দুই মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় থাকেন। এই অবস্থায় এত অংকের ইলেকট্রিক বিল দেখে রীতিমতো ভয়ে গলা শুকোচ্ছে জোশেফ পরিবারের।

TV9 বাংলার এক সাক্ষাৎকারে পম্পা দেবী জানান, “ স্মার্ট মিটার বসানোর আগে পর্যন্ত আমার প্রতি মাসে বিল আসত হাজার এগারো মত। এরপর গত মাসে অর্থাৎ ২ মে তে আমার বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়। এরপর যখন গতকাল অর্থাৎ ৩ জুন আমার ইলেকট্রিক বিল আসল তখন দেখলাম বিল এসে দাঁড়িয়েছে এক মাসে ১২ হাজারে। আজ পর্যন্ত কোনও দিন মাসে এত টাকার বিল আসেনি। সেখানে কীভাবে একধাক্কায় এমন বিল আসল?”

এছাড়াও সেই সাক্ষাৎকারে পম্পা দেবী আরও জানিয়েছেন যে, “ প্রতি মাসে ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট করা হয়, সেক্ষেত্রে বাকির কোনো প্রশ্ন নেই। এমনকি ওঁরা যখন স্মার্ট মিটার বসাতে এসেছিল তখন আমি মানা করেছিলাম কিন্তু তাঁরা একপ্রকার জোর করে বসিয়ে দিয়েছে। আর এখন বিল দেখে মাথায় হাত আমাদের। এদিকে বিলের টাকা দিতে না পারায় আচমকা তাঁরা বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলেন।”

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

মেলের মাধ্যমে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে

কাজের সূত্রে সুশান্ত জোশেফ গুজরাটে থাকেন। সেখান থেকে মেল করে মুখ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎমন্ত্রী, বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি করে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সেই মেলে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন বিলে এই ‘অস্বাভাবিক’ অঙ্ক। পম্পা জানান, বিদ্যুৎ দফতর তদন্তে এসেছিল। কিন্তু উত্তর মেলেনি। এদিকে হুগলি রিজিয়ন বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার মধুসূদন রায় গ্রাহকের কনজিউমার নম্বর সার্চ করে তথ্য নিয়ে জানান, স্মার্ট মিটার বসানোর পর ওই গ্রাহক ৫১৭ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছেন। আগের মিটারে ৮৪৪ ইউনিট বাকি ছিল।

আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, চলবে তাপপ্রবাহও

এদিন বিদ্যুৎ দফতরের ম্যানেজার আরও বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা বিল মেটানোর জন্য দু-তিন বারের কিস্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু, পরের বার থেকে এক মাসের বিদ্যুৎ খরচের অঙ্কই বিলে আসবে। ফলে, বিভ্রান্তি থাকবে না। স্মার্ট মিটার নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥