শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সান্দাকফু (Sandakphu) ঘুরতে যাবেন বলে ভাবছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল দারুণ সুখবর। সম্প্রতি ন্যাশনাল পার্কগুলিতের প্রবেশের সময় পর্যটকদের উপর ফি আরোপের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন বিভাগের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তবে এবার এই ঘটনার একদিন পরেই বৃহস্পতিবার বন বিভাগ বাংলার সর্বোচ্চ পয়েন্ট সান্দাকফু সহ সমস্ত সুরক্ষিত এলাকার গেটে এন্ট্রি ফি ব্যবস্থা সাসপেন্ড করেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখন সকল পর্যটকের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে।
সান্দাকফুতে এবার যেতে লাগবে না ১ টাকাও
সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের দক্ষিণ রেঞ্জের রেঞ্জার রোশন রাই জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে জঙ্গলের ফি না নেওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা। সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কে ভারতীয়দের জন্য প্রবেশ মূল্য আগে জনপ্রতি ২০০ টাকা, আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ছিল ৫০০ টাকা মাথাপিছু। এছাড়াও একটি গাড়ির জন্য চার্জ ধার্য ছিল ৪৮০ টাকা। তবে এখন এই ব্যবস্থাকে তুলে নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, ‘বন বিভাগ নিজের মতো করে কাজ করেছে। অনেক শিক্ষার্থী প্রকৃতি অভিযানের জন্য বক্সায় আসে এবং পিকনিক করতেও অনেকে বনে আসে। তাদের স্পটে ঢোকার জন্য চার্জ করা অমানবিক। সাধারণ মানুষ আমাদের দোষারোপ করবে।’
বড় নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
সান্দাকফু নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বরফ, বরফে আবৃত পাহাড়, রাস্তাঘাট। শীতকালে তো এই জায়গা একপ্রকার সুইৎজারল্যান্ড হয়ে যায়। পাহাড়প্রেমীদের কাছে এই সান্দাকফু আলাদাই ভালোবাসার জায়গা। তবে এখানে এন্ট্রি ফি দেওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আসলে এই সান্দাকফু, ফালুটে ট্রেকিং করার জন্য বাংলার অন্যতম জাতীয় উদ্যান সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে এতদিন সকলকে যেতে হত। যে কারণে বন দফতর এই রুটে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সকলের কাছ থেকে এন্ট্রি ফি আদায় করত। তবে আর নয়।
আরও পড়ুনঃ এবার বীমা সংস্থা বিক্রির পথে কেন্দ্র, তালিকায় তিনটি বড় নাম! আপনার পলিসি নেই তো?
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে বক্সা ভ্রমণের বিষয়ে এন্ট্রি ফি বিষয়ক কথা বলেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী এন্ট্রি ফি বাতিল করার নির্দেশ দেন। এরপর বুধবার রাতারাতি বিভিন্ন জায়গায় রাত ৮টার পর নোটিশ গিয়ে পৌঁছায়। জানা গিয়েছে, এবার থেকে ডুয়ার্স-এর গরুমাড়া, জলদাপাড়া, চিলাপাতাতে যেতেও কোনো ফি দিতে হবে না পর্যটকদের। এই খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। রাতারাতি এই খবর চাউর হতেই দার্জিলিং থেকে কমপক্ষে ১৫টি গাড়ি নাকি সান্দাকফুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।