বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পুজোর মরসুমেই রাজন্যা হালদারের (Rajanya Haldar) বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি। খোয়া গেল, নগদ টাকা সহ বেশ কিছু জিনিস। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রীর পরিবার কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই, চুরির ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই সময় রাজন্যার বাড়ি পুরো ফাঁকা ছিল। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছে চোরেরা!
স্থানীয় সূত্রে যা খবর, গতকাল বিকেল 5টা নাগাদ পুজোর কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন রাজন্যার পরিবারের সকলেই। ওই সময় বাড়ি পুরো ফাঁকাই ছিল। এদিকে একটানা বৃষ্টির কারণে ফিরতে দেরি হচ্ছিল তাঁদের! পরবর্তীতে রাত 12টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে গেটের তালা খুলতেই রাজন্যার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান ঘরের সমস্ত দরজা ভেতর থেকে আটকানো। এরপরই মনে দানা বাঁধে সন্দেহ। দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের।
ঘরের ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায়, পেছনের দিকের শোয়ার ঘরের জানালার গ্রিল এবং পাল্লা ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদিকে নিচে ও উপরের তলার একাধিক আলমারি ভেঙে লুঠপাট চালিয়েছে চোরেরা। সূত্রের খবর, এদিন রাজন্যার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘর থেকে নগদ প্রায় 50 হাজার টাকা সহ বায়ানুকুলার এবং বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বেশ কিছু দামি জিনিসপত্র চুরি করে চম্পট দেন দুর্বৃত্তরা।
এদিকে, বাড়িতে চুরির ঘটনায় সরাসরি চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন খোদ রাজন্যা হালদার। তাঁর কথায়, গোটা ঘটনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। অনেক আগে থেকেই এসবের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। পুরোপুরি প্ল্যান মাফিক এসব হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
এদিন প্রথমবারের মতো ঘরের এমন তোলপাড় অবস্থা দেখে প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা বলেছিলেন, এটাকে চুরি বলা যায় না। সরাসরি ডাকাতি হয়েছে। আমরা এই এলাকায় কিছু না হলেও 56 বছরের স্থায়ী বাসিন্দা। আগে কখনও এমন দেখিনি।
অবশ্যই পড়ুন: যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন শেহবাজ, বললেন, ‘আপনি শান্তিপ্রিয়!’
উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে নগদ মোটা অঙ্কের টাকা সহ অন্যান্য বহুমূল্য জিনিস চুরি যাওয়ায় রাজন্যার মা জানিয়েছেন, বিকেল বিকেল বেরিয়েছিলাম। কেনাকাটা করে ফিরতে রাত 12টা বেজে যায়। বাড়ি এসি দেখি এই অবস্থা। আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। এক সময়ে দাপটের সাথে রাজনীতির ময়দান কাঁপিয়ে বেড়াতেন সোনারপুরের মেয়ে। তাঁর বাড়িতেই কিনা এমন ভয়ানক চুরি। ঘটনায় আতঙ্কিত রাজন্যার পাড়া-প্রতিবেশীরাও।