ফেসবুকে আলাপ থেকে প্রেম! দুই সন্তান, স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের দুয়ারে ধর্নায় ধূপগুড়ির গৃহবধূ

Published:

Dhupguri
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফেসবুক থেকে প্রথম পরিচয়। আর সেখান থেকেই ধীরে ধীরে কথাবার্তা শুরু হতে না হতেই দুজনেই জড়িয়ে পড়লেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। কিন্তু স্বামী, দুই কন্যা সন্তান থাকতেও ভালবাসার অমোঘ টান কিছুতেই মন মানতে চায়নি। শেষে ঘর ছাড়লেন গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। এদিকে প্রাক্তন স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে শুরু করলেন আরেক সংসার। কিন্তু যার জন্য ঘর ছাড়লেন শেষে সেই প্রেমিকই ছাড়লেন প্রেমিকার হাত। মারধর করে পালিয়ে গেলেন দূরে কোথাও।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ধুপগুড়ির পূর্ব ডাউকিমেরী এলাকার প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলে ধর্নায় বসলেন কল্যাণী রায় নামে এক গৃহবধূ। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব ডাউকিমারি এলাকার যুবক দিবাকর মণ্ডলের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ফেসবুক সূত্রে। আর সেখান থেকেই প্রেম শুরু দুইজনের। জানা গিয়েছে গৃহবধূ কল্যাণী রায়ের বাপের বাড়ি ময়নাগুড়ির ঝাজাঙ্গি এলাকায় এবং স্বামীর বাড়ি দক্ষিণ ঝাড়ালতা এলাকায়। যার সঙ্গে গৃহবধূ দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত, ওই যুবকও বিবাহিত। দুজন দুজনের সম্পর্কে সবটাই জানত। টানা দুই বছর ধরে প্রেম করার পর অবশেষে তাঁরা সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দুজনে।

বিয়ের দাবিতে ধর্নায় গৃহবধূ

গৃহবধূ কল্যাণী রায় জানান দিবাকর মণ্ডল নামে ওই যুবক ধুপগুড়িতে একটি বাড়ি ভাড়া করেছিলেন। আর সেখানেই কল্যাণী দেবীকে নিয়েই থাকছিলেন বেশ কয়েকদিন। কিন্তু গত চার দিন আগে কল্যাণী দেবীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রেমিক দিবাকর মন্ডল। আর তারপরেই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি যুবকের। শেষে গত রবিবার প্রেমিককে ফিরে পেতে ওই গৃহবধূ চলে যান পূর্ব ডাউকিমারি এলাকায়। এবং সেখানে গিয়ে যুবকের বাড়িতে ধর্নায় বসেন তিনি। কিন্তু সেখানেও যুবকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পরিবারের কারোর কোন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি। শেষে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় জলপাইগুড়ি এবং ডাউকিমেরী থানার পুলিশ ওই মহিলাকে জোর জবরদস্তি সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন: পুজোয় বাড়তি রোজগারের আশায় পানের দোকান খুললেন তৃণমূলের দুবারের প্রধান

গৃহবধূ কল্যাণী রায়ের দাবি, এর আগে দিবাকর মণ্ডল তাকে বাড়ি থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল কিন্তু পরে ফের তাকে বাপের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর কয়েক মাস পেরোতেই ফের ওই যুবক তাঁকে ফেরৎ নিয়ে যায়। জোর করে গর্ভপাতও করানো হয়েছিল। মারধর করার পর শেষে ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ওই মহিলার দাবি পরিবার পরিকল্পনা করে দিবাকরকে গ্যাংটকে পাঠিয়ে দিয়েছে। যদিও এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কল্যাণী দেবীর প্রাক্তন স্বামী এবং পরিবারের।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join