প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের (Fake Caste Certificate) মাধ্যমে নিট কাউন্সিলিং-এ ভর্তির চেষ্টা! ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর নাম তুলে ধরল পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগ স্বাস্থ্যভবনে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। যদিও এখনও সেই তালিকার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এমতাবস্থায় ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক মহলে।
উঠে এল ‘সন্দেহজনক’ নামের তালিকা
সম্প্রতি ট্রাইবাল অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, এসসি (SC), এসটি (ST) না হয়েও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার সংরক্ষণের তালিকায় নাম ঢুকে যাচ্ছে জেনারেল বা সাধারণ প্রার্থীদের। আর সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন কথা তেমন কাজ, মুখ্যসচিবের নির্দেশে পদক্ষেপ প্রস্তুতি শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের তরফে স্বাস্থ্যশিক্ষা দফতরকে দেওয়া হল ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর ‘সন্দেহজনক’ নামের তালিকা।
বড় অভিযোগ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের
দ্য ওয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে যে, সম্প্রতি একটি প্রতিনিধি সংগঠনের তরফে নাকি তাঁদের কাছে একটি চিঠি এসেছে যেখানে মোট ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে যাঁরা নিজেদের এসটি (ST) হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এবং এর মাধ্যমে NEET কাউন্সিলিং-এ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবং ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করে ভর্তি হওয়ার চেষ্টাও করেছে। যদিও এদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ এখনই খতিয়ে দেখা হয়নি। তাই দফতরের পাঠানো নথিতে স্বাস্থ্যভবনকে বলা হয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে এবং প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সাক্ষাৎ যমদূত! বাইকআরোহী দেখলেই…
কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?
এদিকে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সংবাদমাধ্যম দ্বারা যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে যে, “বিষয়টি সম্প্রতি আমাদের কাছে এসেছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যদি কোনও রকম ‘ভুয়ো’ সার্টিফিকেটের ব্যবহার থেকে থাকে, তাহলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীর ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে পারে। এবং আইনি অপরাধ বলে গণ্য হবে ও বড় শাস্তি দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি অনগ্রসর কল্যাণ দফতরকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শাস্তি স্বরূপ কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |