প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল ডায়মন্ড হারবারে! নিজের নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে (Usthi)। এদিকে মেয়ের এই অত্যাচারে স্বামীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন স্ত্রী। সোজা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকার জুড়ে।
নিজের মেয়েকে ধর্ষণ বাবার
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার দেউলার এলাকায় ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যাকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বাবা আশাদুল শেখের বিরুদ্ধে এবং কাউকে সেই কথা না জানানোর হুমকিও দিয়েছিল। কিন্তু পরে নাবালিকার মা বাড়ি ফিরে মেয়েকে ঘরে একা বসে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। জানতে চেয়ে জোরাজুরি করলে শেষপর্যন্ত মেয়ে সব কথা বলে দেয় তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথমবার নয়, প্রায় দুই বছর ধরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর এই ‘অত্যাচার’ সহ্য করতে পারেনি নাবালিকা। মেয়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে স্বামীর বিরূদ্ধে উস্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষিতার মা।
অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি
নাবালিকার মা উস্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই পুলিশ দ্রুত গ্রামে আসে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ডায়মন্ডহারবার মহিলা থানা। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৯০% মানুষ ভোটার নন! গুলশান কলোনিতে ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা BLO
ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানান, নাবালিকার বাবা আশাদুল শেখ পেশায় একজন দর্জি। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে তিনি তাঁর মেয়েকে টানা দুই বছর ধরে অত্যাচার করে এসেছেন। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। নাবালিকার মা বিষয়টি জানার পর ডায়মন্ডহারবার মহিলা থানা ও উস্তি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা থানার ওসি ডলি ঝা দুবে ও উস্তি থানার আইসি আবুল মারজান ডায়মন্ডহারবার থানার আইসি অমরজিৎ বিশ্বাসের সহযোগিতায় তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিগৃহীতা ওই নাবালিকাকে।












