কলকাতাঃ বাংলার মানুষের কথা ভাবনাচিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর রাস্তায় নেমে হয়রানির শিকার হতে হবে না মানুষকে। বিশেষ করে রাতের দিকে বাড়ি ফেরার জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। এবার এক ধাক্কায় রাস্তায় একাধিক বাস নামাতে চলেছে সরকার বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতের দিকে আরও অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এবার মিলবে বাড়তি বাস
আপনিও যদি কলকাতা শহর তথা বাংলার বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনারও পোয়া বারো হতে চলেছে। কারণ বাংলার সরকার এবার রাতে অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনিতে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ থাকে যে রাত ৯-১০টা বাজতে না বাজতে রাস্তা থেকে যেন উধাও হয়ে যায় বাস। তবে গত শুক্রবার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি বাস রাস্তায় থাকবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বড় সিদ্ধান্ত পরিবহণ দফতরের
বর্তমানে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি বাস রাস্তায় চলে। কিন্তু এই বাস পরিষেবা নিয়ে মোটেও খুশি নন কলকাতাবাসী। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাতে অতিরিক্ত বাস চালানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন মানুষ। এহেন অবস্থায় কোন কোন রুটে অতিরিক্ত বাস চালানো হবে তা নিয়ে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। রাতের বাস পরিষেবার জন্য এ জাতীয় ২৫ টিরও বেশি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি ডানলপ-বালিগঞ্জ, শিয়ালদহ-ঠাকুপুকুর, হাওড়া-গড়িয়া, হাওড়া-পাটুলি, হাওড়া-নিউ টাউন, হাওড়া-নীলগঞ্জ (ব্যারাকপুর) এবং কাঁকুড়গাছি-বেহালা।
মূলত এসব জায়গায় রাত ১০টার পর সরকারি বাস পাওয়া যায় না। রুবি ক্রসিং, শ্যামাবাজার, রাসবিহারী, গড়িয়া, উল্টোডাঙা, তারাতলা-সহ একাধিক স্টপেজে রাতে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে করুণাময়ীতে সন্ধে ৭টা বাজতে না বাজতে বাস চলাচল কমে যায়। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। গত ৬ আগস্ট পরিবহণ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতে সরকারি বাসের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, রাতের বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। হাসপাতাল, ক্ষুদ্র শিল্প ক্লাস্টার, ব্যবসায়িক জেলা এবং বাণিজ্যিক ও অফিস অঞ্চল থেকে বাস সরবরাহ করা হবে।