হুঁশ করে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া, ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জয়রামবাটিতে চলল ট্রেন

Published on:

jayrambati

শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বড় উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল। আর রেলের তরফে যে উদ্যোগ নেওয়া হল তাতে বেজায় খুশি সাধারণ মানুষ। অবশেষে ট্রেনের চাকা গড়াল জয়রামবাটি স্টেশনে (Jayrambati)। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) শুভময় মিত্র তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর নতুন ব্রডগেজ লাইন প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত, হাওড়া ডিভিশনের জয়রামবাটি স্টেশন থেকে শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে বড়গোপীনাথপুর স্টেশন পর্যন্ত ৭৯.৪৩ কিলোমিটার (শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে ৮৬.৫৮৯ কিলোমিটার) নবনির্মিত ব্রডগেজ লাইনের একটি বিস্তৃত পরিদর্শন করেন।

জয়রামবাটিতে চাকা গড়াল ট্রেনের

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন জয়রামবাটি পর্যন্ত নবনির্মিত লাইনে পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়। বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ জয়রামবাটি স্টেশনে বিশেষ ট্রেন পৌঁছোতেই সেখানে ভিড় জমান এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পরিদর্শনকালে, শুভময় মিত্র জয়রামবাটি এবং বারো গোপীনাথপুর স্টেশনের বিভিন্ন ফিটিং এবং অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিদর্শন করেন, যার মধ্যে রয়েছে পুরো অংশ।

এদিন তিনি নতুন রেল লাইন, স্টেশন, সেতু এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপাদানগুলির ট্র্যাক ফিটিং পর্যবেক্ষণ করার জন্য বারো গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি স্টেশন পর্যন্ত একটি মোটর ট্রলি পরিদর্শন করেন। এছাড়াও, সিআরএস জয়রামবাটি থেকে বারো গোপীনাথপুর স্টেশন পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির একটি স্পিড ট্রেল সফলভাবে পরিচালনা করেন।

রেলের বিরাট মাইলফলক অর্জন

রেলওয়ে পরিকাঠামোর নিরাপত্তা ও দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জয়রামবাটি এবং বারোগোপীনাথপুরের মধ্যে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন লাইনটি উদ্বোধন করাই ছিল এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য। পরিদর্শনের লক্ষ্য ছিল সম্ভাব্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ চিহ্নিত করা, রেলওয়ে সম্পদের অবস্থা মূল্যায়ন করা এবং প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা মান এবং প্রোটোকলের সাথে সম্মতি যাচাই করা।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

আরও পড়ুনঃ ১ এপ্রিল থেকে আর ঢুকবে না টাকা! PAN আধার লিঙ্ক না করালে হবেন বঞ্চিত

জয়রামবাটি এবং বারো গোপীনাথপুর স্টেশনের মধ্যে একটি নতুন লাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হওয়া পূর্ব রেলওয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সংযোগ বৃদ্ধি করবে এবং যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন উভয়েরই দক্ষ পরিচালনা সহজতর করবে। দুটি স্টেশনের মধ্যে সংযোগের ফলে সামগ্রিক রেল পরিষেবা উন্নত হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥