ভারতে প্রথম উদ্ভিদের জীবন্ত বিশ্বকোষ! তাক লাগাল বোটানিক্যাল গার্ডেন

Published:

Howrah Botanical Garden
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: জীব বিজ্ঞানের ইতিহাসে এবার এক নয়া পালক জুড়তে চলেছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান গবেষণা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নয়া আলোড়ন গড়ে তুলতে এক অনন্য জীবন্ত উদ্ভিদ বিশ্বকোষ গড়ে উঠতে চলেছে দেশে প্রথমবার। তাও আবার হাওড়ার শিবপুরের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Howrah Botanical Garden)। গর্বে ছাতি চওড়া হল বাঙালির।

বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের ভাণ্ডার থাকবে!

প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই উদ্ভিদবিজ্ঞান গবেষণা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাওড়ার শিবপুরের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেনে। দেশে প্রথমবার‘প্ল্যান্ট ট্যাক্সোনমি সেকশন’ বা এক অনন্য জীবন্ত উদ্ভিদ বিশ্বকোষ গড়ে তুলতে চলেছে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন।

বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদকে একত্রে উপস্থাপন করা হতে চলেছে। জানা যাচ্ছে প্রতিটি গাছেই থাকবে একটি কিউআর কোড, যেটাতে স্ক্যান করলেই পাওয়া যাবে সেই গাছটির বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস, উৎস ও সংরক্ষণ পরিস্থিতি।

গবেষক এবং পর্যটকদের জন্য নয়া উদ্যোগ!

দেশের প্রথম জীবন্ত উদ্ভিদ বিশ্বকোষ যাতে সকলেই চাক্ষুষ করতে পারে তার জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, খুব দ্রুত এটি গবেষকদের জন্যেও খুলে দেওয়া হবে। যার দরুন কেউ যদি এখানে এসে কিছু শিখতে চায় অর্থাৎ কীভাবে উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়, কী ভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সেই সকল নানা তথ্য সবটাই শিখে নিতে পারবেন। এছাড়াও নতুন বিভাগে থাকবে ১৭৫টি ফুলজ উদ্ভিদের পরিবার, যার মধ্যে ১৪৩টি ডাইকটিলেডন, ৩টি জিমনোস্পার্ম, এবং ২৯টি মনোকটিলেডন।

জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে নয়া নজির বাঙালির

অন্যদিকে জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এত বড় আবিষ্কার এবং হাওড়ার শিবপুরের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেনের এই প্রকল্প রাজ্যের শিক্ষা ও পরিবেশ সচেতনতার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদ ও শিক্ষাবিদরা।

এই প্রসঙ্গে, বি গার্ডেনের এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে, এই সেকশনটি দেশের প্রথম এমন একটি জায়গা, যেখানে গবেষকের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, সঠিক ভাবে গাছ চিনতে পারবেন, এটি শুধু প্রজাতিকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতেই নয়, দর্শনার্থীদের শিক্ষাদান ও দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য।”

আরও পড়ুন: শুধু বিহার নয়, এবার বাংলাতেও ভোটার লিস্ট নিয়ে নয়া উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বোটানিক্যাল গার্ডেনে চালু হয়েছে চারাবিক্রয় কেন্দ্র। এই চত্বরেই গড়ে উঠেছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টার ও ক্যাফেটেরিয়া। এমনকি ভারতে চায়ের ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য এই বাগানে চা গাছ রোপণ করা হয়েছে। এ ভাবেই ধীরে ধীরে এখানে একের পর এক গবেষণার কাজ বাড়াতে চালু হয়েছে বেশ কিছু নতুন নার্সারি৷

আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতে গাছ নিয়ে নানা রকম গবেষণার ভান্ডার তৈরি হবে। যদিও বাগানে উদ্ভিদ গবেষণার কাজ বৃদ্ধির পাশাপাশি, পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে৷

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join