প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কিছুদিন আগে গ্রামীণ হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধ যাতে গরীব মানুষেরা কিনতে পারে, তার জন্য সরকার এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। যা শুনে বেশ খুশী রাজ্যবাসী। আর এই আবহে এবার রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে (Medical Facility) আরও উন্নত করতে ফের এক বড় পদক্ষেপ নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের দুটি নামকরা সরকারি হাসপাতালে বসল অত্যাধুনিক মাইক্রোস্কোপ যন্ত্র।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ফের বড় সিদ্ধান্ত সরকারের!
জানা গিয়েছে, যে দুটি সরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক এই মাইক্রোস্কোপ বসানো হয়েছে সেগুলির মধ্যে একটি হল পিজি এবং অন্যটি হল NRS হাসপাতাল। যদিও পিজিতে এক মাস আগেই এই মাইক্রোস্কোপ বসেছে। তবে এবার NRS এও বসে গেল সেই মহামূল্যবান যন্ত্র। এগুলির একটির মূল্যই প্রায় ২ কোটি টাকা। বেশি দামী হলেও এর কাজ অভূতপূর্ব। এর মাধ্যমে যে কোনও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকে প্রায় ৪০ গুণ বড় করে দেখা যাবে। যা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক আমূল পরিবর্তন আনবে। বেসরকারি হাসপাতালে এই যন্ত্র দেখা গেলেও সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই ধরনের মাইক্রোস্কোপ এর আগে ছিল না।
চিকিৎসকদের প্রতিক্রিয়া
চিকিৎসকরা এই যন্ত্র নিজেদের হাসপাতালে পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত। অনেকের মতে কারখানায় কাজ করতে গিয়ে ছিন্নভিন্ন হাত, আঙুলে কোপ, বড় বড় ফোসকা, গায়ে ভয়াবহ আগুন, মুখগহ্বরের মারাত্মক সব ক্যান্সারাস টিউমার, অগ্নিদগ্ধ ক্ষতস্থান পূরণে ফ্ল্যাপিং সমস্তটাই এই মাইক্রোস্কোপের সাহায্য অপারেশন করা যাবে। এনআরএসের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ ভি পদ্মিনী সাহা বলেন, “স্বাস্থ্যদপ্তর এবং আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। কোনওকিছুর অভাব রাখছেন না তাঁরা। এই যন্ত্র এসে পড়ায় জটিল থেকে জটিলতর অস্ত্রোপচার আগের চেয়ে কম সময়ে, কম রক্তপাতে এবং কম জটিলতায় করা সম্ভব হচ্ছে।”
আবার বেশ কিছু চিকিৎসকদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই খালি চোখে অতিসূক্ষ্ম শিরা ও ধমনি এবং নার্ভ সেলাই করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারফলে ভুলভ্রান্তি হয়ে গেলেই রোগীরা সমস্যায় পড়েন। সেই অবস্থায় এই ধরনের আধুনিক মাইক্রোস্কোপ খুবই কার্যকরী। সেক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।