সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কালীপুজোর আগের রাতেই ঘটে গেল এক হাড়হিম করা ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে (Sonarpur) এক পাঁচ বছরের শিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, আচমকায় বাড়ি থেকে শিশুর চিৎকারের শব্দ পান আর ঘরে ঢুকেই দেখেন রক্ত ভেজা অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার দেহ, যা নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি কী?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার কোদালিয়া কদমতলা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এদিন সন্ধ্যেবেলা হঠাৎ করেই প্রত্যুষা কর্মকার নামের ওই শিশুর চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। এরপরেই তারা তড়িঘড়ি বাড়িতে ঢুকে দেখেন রক্তে ভেজা মেঝেতে ওই শিশুর দেহ পড়ে রয়েছে। তারপর ওই শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, প্রত্যুষার মা কলকাতার এক নামিদামি বৈদ্যুতিক সংস্থায় কর্মরত, আর তার বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালের স্টাফ। প্রতিদিনের মতো রবিবারও তারা অফিসে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে তার দাদু, দিদা এবং শিশুটির দেখাভালের দায়িত্বে থাকা একজন মহিলা অর্থাৎ আয়া ছিলেন। তবে তাদের মাঝেই এরকম ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এমনকি মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ মোদী রাজি হয়েও তেল কেনা বন্ধ না করলে শুল্ক দিয়েই চোকাতে হবে মূল্য! হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ইতিমধ্যেই ওই শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর পুলিশ শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব থাকা ওই মহিলা এবং তার দাদু, দিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি ওই বাড়িটিকে সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। এমনকি পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সমস্ত তথ্য জানা যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটির পরিবারে তরফ থেকে কোনওরকম লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদিও অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ। এদিকে খুদে ওই শিশুর প্রাণহানিতে গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।