ট্রেনের ওপর ভর করে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। কিন্তু এই ট্রেনে করে যাওয়ার সময় অধিকাংশ রেল যাত্রীর একটি বিষয় নিয়ে বারবার অভিযোগ থাকে। আর সেটা হল নোংরা বাথরুম। সে রাজধানী এক্সপ্রেস হোক, বন্দে ভারত হোক কিংবা তেজস এক্সপ্রেস, বাথরুম নোংরা, গন্ধ থাকার অভিযোগ থাকেই থাকে। কিন্তু এবার এই বিষয়ে আমল দিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল রেল।
বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল
তবে এবার থেকে যাত্রীদের রেলে ভ্রমণ আরও সুন্দর হতে চলেছে। আর বাথরুম যেতে গিয়ে নাকে বোঁটকা গন্ধ কিংবা নোংরা বাথরুম দেখতে হবে না যাত্রীদের। ভারতীয় রেলের লক্ষ্য ট্রেনে দুর্গন্ধযুক্ত এবং নোংরা টয়লেটগুলির সমস্যা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাধান করা। গত কয়েক বছরে ট্রেনের কোচগুলিতে অনেক উন্নতি ঘটানো হয়েছে। কিন্তু টয়লেটের ময়লা ও দুর্গন্ধ দূর করার চেষ্টা যেন সফলই হতে চায়নি। বর্তমানে রেল মদদ পোর্টাল এবং অ্যাপে প্রাপ্ত অভিযোগের বেশিরভাগই হল শৌচাগার সংক্রান্ত। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ পূর্ব রেল নিয়ে এল একটি আইওটি ভিত্তিক ব্যবস্থা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গন্ধভেদ’। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
সফল হয়েছে পরীক্ষা
প্রথম দিকে মধ্য রেলওয়ের কয়েকটি স্টেশনের টয়লেটে এই সিস্টেমের সফল পরীক্ষার পর এবার পূর্ব রেল শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনের ট্রেনের মধ্যে চালু হবে এই ‘গন্ধভেদ’। যদিও আপাতত সমগ্র বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে চলবে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে ‘গন্ধভেদ’ ডিভাইসটি হাওড়া ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, শিয়ালদহ ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, আসানসোল ডিভিশনের ২টি ট্রেন এবং মালদহ ডিভিশনের ২টি ট্রেনে বসিয়ে ট্রায়াল করা হবে।
কীভাবে কাজ করবে এই ‘গন্ধভেদ’
এখন আপনার মনেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে এই ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করবে? তাহলে জানিয়ে রাখি, ডিভাইসটি ট্রেনের টয়লেটের অবস্থা নিয়ে একটি সংকেত তৈরি করবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে এসএমএস এবং ওয়েবের মাধ্যমে সেই সংকেত যাবে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে কর্মীকে পাঠানো হবে টয়লেটে। এই ডিভাইটিতে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ট্রাইমিথাইল অ্যামাইন, মিথাইল মারক্যাপ্টান, ইথানল রয়েছে।