বাতিল করা হল কয়েকশ কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদনপত্র! কিন্তু কেন?

Published on:

Kanyashree Scheme

প্রীতি পোদ্দার, মালদা: রাজ্য সরকার সাধারণ জনগণের চাহিদা পূরণের শর্তে একাধিক জনদরদী প্রকল্পের আয়োজন করে চলেছে। যার সুবাদে উপকৃত হয়েছে লক্ষ লক্ষ্য রাজ্যবাসী। আর এই সকল প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল কন্যাশ্রী প্রকল্প (Kanyashree Scheme)। রাজ্যের সকল দরিদ্র এবং মেধাবী ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে কোনওরকম আর্থিক সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনায় খরচ করার জন্য বছরে ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সরকারি প্রকল্প নিয়ে ফের দুর্নীতি!

পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ বছরের পরেও যে সকল ছাত্রীরা অবিবাহিত থাকে তাদেরকেও এককালীন দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু এবার দেখা গেল আরেক কাণ্ড। কন্যাশ্রীর টাকা নয়- ছয়ের ঘটনা ঘটল। বছর কয়েক আগে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে কয়েকজনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। এমনকি প্রায় সকলেরই এক বা একাধিক সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাঁরাই আবার ‘কন্যাশ্রী’র টাকা পাচ্ছেন বা আবেদন করছেন। শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছে যে, দুই মাস আগে পঞ্চায়েত ও ব্লকের কর্মীর পরিচয় দিয়ে দু’জন ব্যক্তি কন্যাশ্রীর আবেদন পত্র নিয়ে এসেছিলেন। প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিবার থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে হাতিয়েও নিয়ে গিয়েছেন।

উঠে আসে বিস্ফোরক অভিযোগ

ঘটনাটি যখন ধরা পড়ে তখন এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে বিডিও পৌঁছন এলাকায় পুরো ঘটনার তদারকি করতে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াঙদি লামা জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসার কন্যাশ্রী প্রকল্পের একাধিক আবেদনপত্র হাতে নিয়ে তথ্য যাচাইয়ে যান মশালদহ অঞ্চলের তালগাছি ও করকরিয়া গ্রামে। আর সেখান থেকেই এই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসের এক কর্মী জড়িত রয়েছে। যিনি কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফিল্ড ভেরিফিকেশনে গিয়ে টাকা আদায় করে মিথ্যা রিপোর্ট ব্লকে জমা করেছেন। আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ এবার স্বাস্থ্যবীমা দেবে LIC, ৩১ মার্চের মধ্যে বড় ঘোষণার সম্ভাবনা

অন্যদিকে জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে অবিবাহিত সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর সেই অবিবাহিত সার্টিফিকেট দেখিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন ছাত্রীরা। এরপর রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী পোর্টালে সমস্ত ডকুমেন্টস আপলোড করতে হয় স্কুলকে। এবং ব্লকের নির্দেশে তদন্তে যায় ব্লক ও পঞ্চায়েত কর্মীরা। তাই এই ঘটনার সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও হাত নেই। কিন্তু আমি যখন শুনেছি আবেদনকারীদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে তখনই ৮ থেকে ১০টি কন্যাশ্রী আবেদন পত্র বাতিল করে দিয়েছিলাম।’

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group