প্রীতি পোদ্দার, শিলিগুড়ি: সকলেরই মনে একটা ইচ্ছা থাকে যে গাড়ি চড়বে তাইতো অনেকেই টাকা জমিয়ে মনের আশা পূরণ করে। কেউ জেনে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি তো কেউ বা আবার কেন নতুন মডেল। তবে নতুন চারচাকা গাড়ির মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির একাংশ পুরনো গাড়ি কিনে ব্যবহার করেন। আবার অনেকে পুরনো গাড়ি বিক্রি করে নতুন গাড়ি কেনেন। সেক্ষেত্রে অনেকেই পড়েন বিপদে। প্রতারণার জালে হয় ক্রেতাকে পড়তে হয়, নতুবা পড়তে হয় বিক্রেতাকে। আর এবার সেই ঘটনাই ঘটল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। চুক্তি করে গাড়ি কেনার পর টাকা না দিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক তরুণের বিরুদ্ধে।
চুক্তি হলেও দেওয়া হয়নি কিস্তির টাকা
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, দার্জিলিং এর বাসিন্দা ইজাক সুব্বার সঙ্গে গাড়ি বিক্রি নিয়ে পরিচয় হয়েছিল দেবীডাঙ্গার বাসিন্দা অরিজিৎ সিং এর সঙ্গে। ইজাক চুক্তি হিসেবে অরিজিৎ এর কাছে গাড়ি বিক্রি করেন। চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হয় গাড়ির লোনের পাঁচ লাখ টাকা কিস্তি হিসেবে শোধ করবেন অরিজিৎ। ইজাককে শুধু দেবেন ৭০ হাজার টাকা। সেই নিয়মে দুজনেই সায় দিয়েছিলেন এবং চলতি বছর ২৫ মার্চ সেই গাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গাড়ি মিলতেই ঘটল আরেক ঘটনা। মাস পেরিয়ে অরিজিৎ এর তরফে দেওয়া হয় না কোনও চুক্তির টাকা। ফোনেও কোনও যোগাযোগ পাওয়া যায় না। আর তাতেই মাথায় বাজ পড়ে ইজাকের।
আরও পড়ুন: মাত্র ১ মাসেই হুড়মুড়িয়ে ভাঙল কোটিতে তৈরি নদীবাঁধ! আতঙ্ক মহিষাদলে
পুলিশের সাহায্যে উদ্ধার করা হল গাড়িটি
এরপর বিক্রেতা ইজাক দিশেহারা হয়ে শিলিগুড়ির প্রধান নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শেষে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে চুক্তিপত্রে থাকা নম্বর ট্রেস করতে গিয়েই দেখে অরিজিৎ সিং নামের এমন কোনও ব্যক্তিই নেই। ওই প্রতারকের আসল নাম নন্দন ঘোষ। তিনি মালবাজারের সাউথ কলোনির বাসিন্দা। শেষে বহু খোঁজখবর করার পর চলতি মাসের ৩ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের দরুন জানা যায় প্রতারক ওই গাড়িটি মেখলিগঞ্জে তিনজনের কাছে বিক্রি করেছে। এরপর গত বুধবার মেখলিগঞ্জের শালবাড়ি মোর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় সেই গাড়িটি। ধৃত ৪ জনকে আজ শিলিগুড়িফকুমা আদালতে তোলা হয়।