প্রীতি পোদ্দার, হাওড়া: প্রায় বছর দুয়েক ধরে আবদুর রহমানের সঙ্গে সোমাইয়ার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সোমাইয়ার বয়স ১৯ এবং আবদুর এর বয়স ২১। তবে সম্প্রতি কিছু কারণে সম্পর্কে শীতলতা এসেছিল। আবদুর নাকি সোমাইয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। কিন্তু এর পরিণতি যে এতটা ভয়ংকর হয়ে যাবে, সেটা তখনও কেউ টের পায়নি। সারপ্রাইজ দেওয়ার নাম করে প্রতিশোধ নিতে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের এক বড় ক্ষতি করে বসল প্রেমিকা।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার ডোমজুড় থানার পার্বতীপুর এলাকায় ফোন করে সারপ্রাইজ দেবে বলে আবদুর রহমানকে স্থানীয় একটি জঙ্গলে ডেকে পাঠায় সোমাইয়া। এদিন প্রেমিকার ফোন পেয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যান আবদুর রহমান। সোমাইয়া ফের আবদুরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বললে সোমাইয়া আবদুর রহমানের হাত সঙ্গে সঙ্গে গাছের সঙ্গে বেঁধে দেয়। সারপ্রাইজ যাতে দেখতে না পায় তার জন্য প্রেমিকের চোখও বেঁধে দেয় সে। যদিও তখনও আবদুর প্রেমিকার মতলব কিছুই অনুমান করতে পারেননি যুবক। কিন্তু নিমেষেই ঘটে যায় বড় বিপদ। মুহূর্তের মধ্যেই প্রেমিকা সোমাইয়া ব্লেড দিয়ে আবদুর রহমানের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এর পর বাঁধন খুলে দেয় সে।
অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক
কোনো রকমে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যেও কোনো রকমে গ্রামে এসে স্থানীয়দের অসুস্থতার কথা জানায় আবদুর। সব শুনে স্থানীয়রা তাঁকে কোনো রকমে SSKM হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের তিনি ঘটনার সমস্তটাই জানান। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর পর স্থানীয়দের কাছ থেকে এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত প্রেমিকা সোমাইয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে।
গোটা ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ঘটনা খবরেই শুনেছি কিন্তু আগে কখনও তাঁদের এলাকায় ঘটেনি। তরুণী যা করেছেন তা সম্পূর্ণ ক্ষমার অযোগ্য। ওদিকে তরুণীর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে সোমাইয়াকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন আবদুর রহমান। শেষে সোমাইয়া অতিষ্ঠ হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।