কলকাতাঃ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বহু রাজ্য সরকার নিজেদের কর্মীদের DA সহ নানা ভাতা বাড়িয়েই চলেছে। এদিকে বাংলার সরকারি কর্মীদের ভাগ্যের চাকা যেন ঘুরতেই চাইছে না। রোদ, জল, ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে শয়ে শয়ে দিন ধরে বহু সরকারি কর্মী বকেয়া এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদিকে সরকার দু’দফায় ডিএ বাড়ালেও সকলে খুশি হননি। এরই মাঝে ডিএ নিয়ে বিরাট গড়মিলের খবর প্রকাশ্যে উঠে এল।
ডিএ নিয়ে গড়মিল
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নতুন এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরব হলেন বহু সরকারি কর্মী। জানা যাচ্ছে, এখন এক মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ সরকারি কর্মীদের। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। আর এই অভিযোগ করেছেন খোদ শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে এক মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছিল, তা নাকি পে স্লিপে দেখানো হয়নি। চলতি বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করার সময়েই সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে সরকারি কর্মীরা ১৪ শতাংশ হারে DA পাবেন। এদিকে সেই টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। কিন্তু পে স্লিপ আলাদা কথা বলছে। এই টাকার পরিমাণ নাকি দেখানোই হয়নি। আর এই নিয়েই নতুন করে সরব হয়েছেন অনেকে।
পে স্লিপে কী লেখা রয়েছে
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে তাহলে পে স্লিপে কী লেখা রয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, সরকারি কর্মীদের যে পে স্লিপ দেওয়া হয়েছে সেখানে এক মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার টাকাকে ‘Interim Relief’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এদিকে এই লেখা দেখে বেজায় চটেছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই পে স্লিপ দেখালে ভবিষ্যতে অন্য কোনও কাজের সময় সমস্যা হতে পারে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, ‘জুলাই মাসের স্যালারিতে এপ্রিল মাসের চার শতাংশ ডিএ এরিয়ার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এখন যখন কোনও বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অশিক্ষাকর্মী পে স্লিপ ডাউনলোড করছেন, তখন অদ্ভুতভাবে দেখা যাচ্ছে যে সেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা অর্থকে ডিএ এরিয়ার হিসেবে না দেখিয়ে আইআর অর্থাৎ ইন্টেরিম রিলিফ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়! পুরুষ, মহিলা উভয়কেই ৫ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যানুয়াল স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করলে সেখানেও একইভাবে এই ভুল দেখা যাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভাবে ভুল তথ্য। আমরা শিক্ষা দফতরের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে অবিলম্বে এই ভুল সংশোধন করা হোক। বিভিন্ন কাজে পে স্লিপ ব্যবহার করা হয়। সেখানে এই ভুল তথ্য কোনওভাবেই কাম্য নয়।’