প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি মাসের শুরুতে অপারেশন সিঁদুর অভিযানের মাধ্যমে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় প্রত্যাঘাত করেছিল ভারতীয় সেনা। দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছিল যুদ্ধ পরিস্থিতি। সেই সময় রাজ্য সরকার সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees) ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছিল। বলা হয়েছিল শুধুমাত্র শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে এই ছুটির ছাড় মিলবে। যা নিয়ে মহা শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য জুড়ে।
ছুটি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য চিঠি
এদিকে বর্তমানে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। ভারত পাক সীমান্তে এইমুহূর্তে কোনো অশান্তির আবহ তৈরী হয়নি। তাই সরকারি কর্মচারীদের ছুটির ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য কয়েকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, “গত ৭ মে, ২০২৫ তারিখের সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কারণে শুধুমাত্র চিকিৎসার কারণ ছাড়া কর্মীদের সদর দপ্তর ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে এবং শান্তি ফিরে এসেছে। তাই সরকার যদি কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মুকুব করে তাহলে সকলের সুবিধা হবে।
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল হওয়ায় কেন্দ্র সরকার তাদের ছুটির নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিলেও, রাজ্য সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি এই চিঠির প্রেক্ষাপট নিয়ে কোনো রকম ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। আর তাতেই সরকারি কর্মীদের মনে জেগে উঠেছে একাধিক প্রসঙ্গ। এমনকি তাঁদের মনে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লিভ ট্রাভেল কনসেশন (এলটিসি) এবং হোম ট্রাভেল কনসেশন (এইচটিসি)-এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার।
LTC বা HTC নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে চলতি বছর লিভ ট্রাভেল কনসেশন বা এলটিসি এবং হোম ট্রাভেল কনসেশন বা এইচটিসি ব্লক ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে শেষ হতে চলেছে। এদিকে এখনও রাজ্য সরকার তাঁদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাহার করছে না। কিন্তু যদি এই ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে বহু সরকারী কর্মী তাদের প্রাপ্য এলটিসি বা এইচটিসি সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিতে পারবেন না। এবং আর্থিকভাবে কর্মীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর সেই সম্ভাবনাকে টেনে নিয়েই অনেকের ধারণা সরকার ইচ্ছে করে এইধরনের কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় আর যাত্রী দুর্ভোগ নয়, রেল পরিষেবা মসৃণ করতে ১২টি বড় পদক্ষেপ শিয়ালদা ডিভিশনে
সেই কারণে এমন পরিস্থিতিতে যাতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পড়তে না হয় সেই কারণে পরবর্তী সরকারের হস্তক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে তাদের মূল দাবি একটাই, অবিলম্বে ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হোক এবং এলটিসি বা এইচটিসি সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এখন দেখার বিষয় রাজ্য সরকার, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ছুটির ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে কিনা। তবে আশা করা যাচ্ছে রাজ্য সরকার যদি এই আবেদনে সবুজ সংকেত দিয়ে থাকে তাহলে রাজ্যের বহু সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের বেশ সুবিধা হবে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
| গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
| চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
| রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
| খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |
