প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: টানা প্রায় ১ মাস গরমের ছুটির পর অবশেষে গত ২ জুন,সোমবার, রাজ্যের সকল সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলো (Government Schools) খুলে গিয়েছে। এদিকে ছুটি শেষ হতেই গরমের রুদ্র রূপ বেরিয়ে এসেছে ফের। এইমুহুর্তে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। নিম্নচাপের কারণে বেশ কিছুদিন টানা বৃষ্টি স্বস্তি ফিরলেও জুনের শুরুতেই তাপমাত্রা হুড়মুড়িয়ে বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই আবহে সকালের দিকে পড়ুয়াদের ক্লাস করার সময় নির্ধারণ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
ক্লাসের সময় এগিয়ে আনার নির্দেশিকা!
সরকারি স্কুলগুলিতে প্রতি বছর পূর্ব নির্ধারিত গরমের ছুটি থাকে ৯ থেকে ১২ দিন। কিন্তু অত্যধিক গরমের জন্য সেই নির্ধারিত ছুটি বাধ্য হয়েই বাড়ানো হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্মে আপৎকালীন ছুটি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। চলতি বছরেও নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অত্যাধিক গরমের কারণে গত ৩০ এপ্রিল সমস্ত সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ছুটি পড়ার কয়েক দিনের মধ্যে আবহাওয়া বদলে যায়। অনেকটাই কমে যায় তাপমাত্রা। এদিকে যেই ছুটি শেষ হয়েছে অমনি বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে তৈরি হয়েছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। তাই ক্লাসের সময় এগিয়ে আনার নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাসংসদ।
পূর্ব মেদিনীপুরে মর্নিং স্কুলের আবেদন
সূত্রের খবর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো বেশ কিছু জেলায় স্কুলের সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সব জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাসংসদের চেয়ারম্যানের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দুপুরের বদলে সকালেই (Government School) জেলার সরকার এবং সরকার পোষিত প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া হোক।
এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে, যাতে তারা দিনের বেলায় বাড়তে থেকে তাপমাত্রা এড়াতে পারে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদও একই রকম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি শেষ হতেই স্কুলগুলোতে জারি কড়া নির্দেশ
এদিকে মনিং স্কুল প্রসঙ্গে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গরমের মধ্যে পড়ুয়াদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা চাইলেই মর্নিং স্কুল করতে পারি না। এর জন্য রাজ্যের অনুমতি দরকার। অনুমতি চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’ আগে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের প্রাইমারি স্কুলগুলিতে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সকালে স্কুল হত কিন্তু এ বার তা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনের।
অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (DPSC) ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত প্রাথমিক এবং জুনিয়র বেসিক স্কুলগুলিকে ৪ঠা জুন, ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকালের অধিবেশনে পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে। তার উপর গরমের ছুটির শেষে গত সোমবার স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের হাজিরা ছিল অনেকটাই কম। আর এর অন্যতম মূল কারণ হল গরম। আর এই আবহে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে ছুটি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলেও।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |