পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষক শিক্ষিকাদের (Teacher) নিয়োগের পর অনেকেই বাড়ির থেকে অনেকটা দূরে পোস্টিং পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কিছু বছর চাকরির পর চাইলে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। এই পক্রিয়াকেই আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার উদ্দেশ্যেই সরকারের তরফ থেকে উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করা হয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকেই বন্ধ বদলি সংক্রান্ত কাজ। তবে নতুন বছরে সুখবর মিলেছে। ফের চালু হচ্ছে পোর্টাল।
২৮ মাস পর চালু হচ্ছে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল
২০২৫ সাল পড়তেই চালু করে দেওয়া হয়েছে উৎসশ্রী পোর্টাল। আগামী ৩০ শে জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। তবে এখানে কিছু শর্ত রয়েছে। সকলে এখনই বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা পারস্পরিক বদলির আবেদন করা যাবে। জেনারেল ট্রান্সফার বা স্পেশাল ট্রান্সফার এখনও চালু হয়নি। জুন মাসের পর নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হলে হয়তো বাকি ট্রান্সফার চালু করা হতে পারে।
চালু হল মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন
যদি রাজ্য সরকারের কোনো দুই শিক্ষাকর্মী বদলির জন্য আবেদন করেন। আর তারা একে অপরের লোকেশনে ট্রান্সফার নিতে আগ্রহী হন তাহলে পারস্পরিক বদলি করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন বাড়ির কিছুটা কাছে পোস্টিং পাওয়া যায় তেমনি বদলিও হয়ে যায়। জানুয়ারি থেকে শুরু করে আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই ধরণের বদলির আবেদন নেওয়া হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
রাজ্যের প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাই উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন করতে পারেন। তবে অনেকেরই প্রশ্ন কেন জেনারেল ও স্পেশাল ট্রান্সফার চালু করা হল না? এর উত্তরে জানা যাচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকের কেটে পার্শ্বশিক্ষকের নিয়োগ বা বলা ভালো কাউন্সিলিং চলছে। তাই বাকি বদলির বিষয়ে জুন মাসের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ যখন পোর্টাল বন্ধ হয় তখনও বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছিল। দু’বছর কেটে গেলেও সেই ট্রান্সারের সমাধান হয়নি, তাই অফলাইনের মাধ্যমে এই সমাধানের জন্য দাবি করছেন কর্মীরা। এপ্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি স্বপন মন্ডল জানান, দীর্ঘদিন ধরেই SSC ও শিক্ষা দফতরের কাছে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালুর দাবি করা হচ্ছে। এতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষা কর্মী বা প্রতিষ্টানের কোনো অসুবিধা হয় না। এবার সে চালু হওয়ায় আনন্দিত হলাম। তবে বাকি ট্রান্সফার আটকে আছে, সেগুলিও দ্রুত সমাধানের জন্য শিক্ষামন্তীর কাছে আবেদন’।