প্রীতি পোদ্দার, হাওড়া: দেশের প্রাচীনতম পোশাকের মার্কেট হিসেবে বরাবরই নাম করে এসেছে মঙ্গলা হাট (Mangla Haat)। ৫০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৩৯ সালে পুলিনচন্দ্র দাঁ এর কাছ থেকে জমিটি লিজ নিয়েছিল একটি ব্যবসায়ী সংস্থা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকী ভিন রাজ্য থেকে খুচরো ব্যবসায়ী এবং বহু সাধারণ মানুষজন এখানে জামাকাপড় কিনতে আসেন। প্রতি মঙ্গলবার করেই এখানে হাট বসে। আর সেই হাটের পুনর্বাসনের জন্য সরকার টুইন টাওয়ার মার্কেট গড়ে তুলতে চলেছে।
কী হয়েছিল?
আসলে গত বছর জুলাই মাসের ২১ তারিখ ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাওড়ার মঙ্গলা হাটের প্রায় আড়াই হাজারের বেশি দোকান। ঘটনার এই খবর পেয়ে ওই দিন দ্রুত সমাবেশ ছেড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী সকল দোকানদারদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার নিজেই। আর সেই প্রতিশ্রুতি এবার পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলা হাটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কার্তিক দত্ত রোডের একটি ফাঁকা জমিতে জোড়া মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা নিলেন তিনি।
টুইন টাওয়ার মার্কেট নিয়ে কী তথ্য দিল নবান্ন?
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার কার্তিক দত্ত রোডের প্রায় ৮ বিঘা জমির ওপর ১২ তলা মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এবং এই মার্কেটের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। এখানে একই ছাদের তলায় ব্যবসা করতে পারবেন দোকানদাররা। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর জন্য আলাদা স্টল তৈরি হবে। প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত শৌচাগার এবং ২৪ ঘণ্টা পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। আধুনিক মানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও থাকবে। মার্কেট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে KMDA অর্থাৎ কলকাতা মেট্রোপলিটিয়ান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নয়া উদ্যোগে বেশ খুশি মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা। হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, ‘মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন মার্কেট তৈরি হবে। এর জন্য যা খরচ হবে, তার সবটাই বহন করছে রাজ্য সরকার। সেখানে কারা জায়গা পাবে, তা খতিয়ে দেখার জন্য সমীক্ষা চলছে।’