২৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নবান্নর, উপকৃত হবেন ১ কোটি ৭ লক্ষ মানুষ, বড় প্রকল্প রাজ্য সরকারের

Published on:

nabanna mamata banerjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাংলার সকল জনসাধারণের সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি নানা প্রকল্প। তেমনই বাংলার কৃষকদের সাহায্য করতেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প। ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল এই ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্প। ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষকরা যাতে সরকারি সহায়তা পান তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট ৩ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আর এই আবহে ২৯০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বর্তমানে এক একর বা তাঁর বেশি জমিতে উৎপন্ন ফসলের ভিত্তিতে বছরে দুই কিস্তিতে সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা দেয় সরকার। জমি এক একরের কম হলে দুই কিস্তিতে সর্বাধিক ৪ হাজার টাকা পান চাষিরা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খরিফ মরশুমের শুরুতে এই টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এবার রবি মরশুমের শুরুতেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে কৃষকদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থ দফতর এই টাকা দেওয়ার বিষয় প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে কৃষি দফতর।

ফলপ্রকাশের পরেই প্রকল্পের টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত

ইতিমধ্যে ছয় জেলার ছয়টি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর এই নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যাবে আগামী ২৩ নভেম্বর, ২০২৪। তারপর রাজ্যের কোথাও আর নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকবে না। তখনই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চলেছে প্রশাসন। আর সেই সূত্র অনুযায়ী আর কয়েকদিনের মধ্যে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারপরেই চলতি অর্থবর্ষে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে এই টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই জেলাভিত্তিক উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মোট উপভোক্তার সংখ্যা নাকি গত বারের তুলনায় প্রায় দেড় লক্ষ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কী বলছেন কৃষি মন্ত্রী?

এই প্রসঙ্গে, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষিদপ্তর রাজ্যের চাষিদের কাছে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। একজনও যোগ্য প্রাপক যাতে বঞ্চিত না হন, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে। সেই মতো পরিকল্পনা করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ এদিকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে ৩০ নভেম্বরের পরে। তাই ততদিন পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্পে নাম তোলার কাজ। তারপর শীঘ্রই ক্ষতিপূরণ বাবদ শস্য বিমার টাকাও কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group