কলকাতাঃ সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আরও একটি জাতীয় সড়ক। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে বাংলা সহ সমগ্র দেশের সড়ক ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। এখন এমন বহু রাস্তা এমন রয়েছে যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা মাখনের মতো মসৃণ হয়ে গিয়েছে। বাংলাতেও এমন বহু রাস্তা, জাতীয় সড়ক রয়েছে যেখানে গেলে এক আলাদাই অভিজ্ঞতা মেলে। তবে এবার বাংলার মুকুটে আরও একটা পালক জুড়তে চলেছে। আপনিও যদি বাংলার বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
রাজ্যে আরেকটি জাতীয় সড়ক
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই জাতীয় সড়কটি কোথায় হচ্ছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই চিত্তরঞ্জন রোডের চেহারাই বদলে দেবে সরকার। রোডকে জাতীয় সড়ক পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কয়েক দফায় বৈঠকও সেরে ফেলেছে বলে খবর।
এদিকে গত সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। যত দ্রুত কাজ শুরু করা যেতে পারে তার জন্য আলোচনা করেছে। একবার এই রোডে জাতীয় সড়ক হয়ে যায় তাহলে জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। সেইসঙ্গে মানুষের যাতায়াত করতে আর সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আদতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলটির চৌরঙ্গি মোড় এলাকা থেকে রূপনারায়ণপুরের দিকে যাওয়া চিত্তরঞ্জন রোডকে জাতীয় সড়ক পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা হয়েছে। যদিও এই রাস্তা তৈরি করা খুব একটা সহজও হবে না প্রশাসনের কাছে। রাস্তা তৈরির জন্য কিছু এলাকায় রাস্তার পাশে কিছু নির্মাণ ভাঙতে হবে। আর এটাই চিন্তা বাড়িয়ে প্রশাসনের।
সড়ক নির্মাণে রোডম্যাপ
রূপনারায়ণপুর রেলসেতুর বাঁ পাশে বিহার রোডে মিশে সড়কটি পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানার টোল আদায় কেন্দ্র পর্যন্ত জাতীয় সড়কটির নির্মাণ হবে। প্রায় ৯ কিলোমিটার এই রাস্তায় দু’টি লেন তৈরি হবে। খরচ হবে ১৪৫ কোটি টাকা মতো। এই রাস্তা একবার তৈরি হয়ে গেলে আরাম সে ১১০ কিমি গাড়ি ছোটাতে পারবেন আপনি। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক এস পুন্নমবলম জানিয়েছেন, ‘গুরুত্বের সঙ্গে এই সড়ক তৈরি করা হবে।’ দুই লেনের রাস্তাটি প্রায় ১২ মিটার চওড়া হবে। রাস্তার পাশে ফুটপাত, নর্দমা, জলের পাইপলাইন যাওয়ার জায়গা রাখতে হবে। নির্মাণ ভাঙতে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আল্লাডি, জেমারি ও দেন্দুয়া এলাকায় সার্ভিস রোড তৈরি হবে। হাওড়া-নয়া দিল্লি রেললাইনের দেন্দুয়া লেভেল ক্রসিংয়ে একটি উড়ালপুল তৈরি করা হবে। এ ছাড়া রাস্তার উপরে একাধিক কালভার্ট ও ছোট সেতু তৈরি হবে। জমির জন্য জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।