DA দূর, শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার! বিকাশ ভবনে পড়ে হাজার হাজার ফাইল

Published on:

college professor promotion

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য সরকারের প্রতি একের পর এক ক্ষোভ এবং অভিযোগ বেড়েই চলেছে। একদিকে সরকারী কর্মীদের DA বা মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। কেন্দ্রীয় হারে বেতনের দাবিতে রীতিমত উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা সরকারি কর্মীদের সংগঠন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আর এই আবহে এবার রাজ্যের সরকারি বেসরকারি কলেজের অধ্যাপকদের পদোন্নতি থমকে গিয়েছে। যা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে তর্ক বিতর্ক।

পদোন্নতির প্রক্রিয়া

WhatsApp Community Join Now

মূলত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC-এর ১৯৭৩ থেকে হয়ে আসা বেতনক্রম অনুসারে অধ্যাপকদের পদোন্নতি ও বেতন হয়ে থাকে। চাকরির সময়কালে আইন অনুযায়ী মোট তিনবার পদোন্নতি হয়। কলেজে কোনও অধ্যাপক যখন প্রথম কলেজে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত হন তখন তিনি থাকেন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ‘স্টেজ ওয়ান’ পদে। প্রথমে একই পদে দু’বার পদোন্নতি হওয়ার সুযোগ থাকে। এরপর পদোন্নতি হয় অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ‘স্টেজ টু’ এবং ‘স্টেজ থ্রি’ পদে। চতুর্থ বার পদোন্নতি হয়ে তখন তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদে যান। তবে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদোন্নতির সময় ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী PhD ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক।

আটকে গিয়েছে দু’হাজার অধ্যাপকের পদোন্নতি

যে সকল অধ্যাপক PhD ডিগ্রি প্রাপ্ত তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে যুক্ত হওয়ার পর থেকে মোট চার বছর পর উপযুক্ত হন প্রথম পদোন্নতির জন্য। এমফিল থাকলে তাঁরা পাঁচ বছর পর পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। এবং যাঁদের কোনও ডিগ্রি নেই তাঁরা পদোন্নতির উপযুক্ত হন ছ’বছরে। এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ম মেনেই রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতি হয়ে থাকত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের পদোন্নতি আটকে গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যে সমস্ত অধ্যাপকের পদোন্নতি হওয়ার কথা তাঁদের নাকি পদোন্নতি করছে না সরকার। সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দু’হাজারে।

আইনি পথ বেছে নেওয়ার হুংকার অধ্যাপকদের

জানা গিয়েছে প্রায় দু’হাজারের বেশি অধ্যাপকের পদোন্নতির ফাইল নাকি এখনও পর্যন্ত বিকাশ ভবনের টেবিলেই আটকে রয়েছে। অধ্যাপক মহলের একাংশ আশঙ্কা করছে আদৌ পদোন্নতি হবে কি না। পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওয়েবকুটার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রবোধকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘ UGC-র বেতনক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই, এমনকি সেই আইন অনুযায়ীই আমরা এতদিন বেতন ও পদোন্নতি পেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করেই বর্তমানে রাজ্য সরকার ২০১৬-র UGC-র বেতনক্রমকে মান্যতা দিচ্ছে না। তার পরিবর্তে রাজ্যে সরকারের ২০১৯ রোপা আইন অনুসরণ করছে। যার ফলে অন্তর্বর্তী পদোন্নতি আটকে দিয়েছে।’’ যদিও অধ্যাপক মহলের একাংশের দাবি শীঘ্রই যদি এই পদোন্নতির সুরাহা না হয় তাহলে তাঁরা আইনি পথ বেছে নেবেন।

সঙ্গে থাকুন ➥
X