প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি মাসে সবে মাত্র শেষ হল রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন ছাত্র ছাত্রীদের ওপর পড়ার চাপ বেশ কম। আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে নতুন শ্রেণীতে ভর্তির পরীক্ষা। কিন্তু এবার স্কুলে ভর্তি নিয়েই কড়াকড়ির পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। যা শুনে বেশ চিন্তিত প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি
রাজ্য শিক্ষা দফতরের এই নয়া নির্দেশিকায় রাজ্যের প্রতিটি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্দেশে বলা হয়েছে যে, এবার থেকে রাজ্যের কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০০ জনের বেশি পড়ুয়া রাখা যাবে না। পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকের বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও পড়ুয়া সীমা টেনে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে পড়ুয়ার সংখ্যা হবে ৫০০ জন এবং প্রাক প্রাথমিকে লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫০ জনকে ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া যাবে। এছাড়াও নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতেও এই একই নিয়মে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে।
গত সোমবার, রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এদিকে চলতি মাসের ২৩ থেকে ২৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তার আগে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে এই সরকারি নির্দেশনামা আসায় রীতিমত ফাঁপরে পড়েছে শিক্ষকদের একাংশ। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অপর্ণা মণ্ডল জানিয়েছেন, “সরকারি নির্দেশ কড়া ভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। তবে কোনও স্কুলে বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার থাকলে অভিভাবকেরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে একটি অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির তালিকা পাঠালে তা অনুমোদন করে দেওয়া হবে।”
চিন্তিত বহু শিক্ষক
সরকারের এই নির্দেশে বহু স্কুল মহা সমস্যায় পড়েছে। অনেক বিদ্যালয়গুলোতে ৫-৬টি গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি বিদ্যালয় চলে কোনরকমে। এ বার ৫০ জন কী করে করবেন ভেবে পাচ্ছেন না অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আর এই প্রসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জ পূর্ব চক্রের এস আই স্বপ্নেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন যে জেলার ৪১টি চক্রেই তিনশোর বেশি পড়ুয়া আছে বহু স্কুলেই। ৬০০ থেকে ৮০০ পড়ুয়া সংখ্যার স্কুলও কম নেই। দুটো শিফট করা যাবে।”