প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এলাকায় এলাকায় বেআইনি নির্মাণকে ঘিরে নানাবিধ বিতর্ক দেখা যায়। আর এই নির্মানকান্ডে জড়িয়ে থাকে দুর্নীতি। সঙ্গে ওঠে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। আর এই কর্মকান্ডে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সেইসব নানা নির্মাণকাজ নিয়ে ওঠে একাধিক প্রশ্ন। যা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার পুরসভা এলাকায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে এবং বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের নিয়মে বড় বদল আনতে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনের দায়িত্ব পরিবর্তন!
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার নতুন নিয়ম রূপায়ণের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এনেছে। যেই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, এখন থেকে পুরসভার এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেওয়ার অধিকার বোর্ড অব কাউন্সিলার্স এর নেই। তার বদলে এই অধিকার বা দায়িত্ব দেওয়া হবে পুরসভার আধিকারিক ও পদাধিকারীদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ কমিটিকে। এবং পুরসভার চেয়ারম্যানই হবেন ওই কমিটির চেয়ারম্যান। কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও থাকবেন ফিনান্স অফিসার ও ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়া থাকবে ‘বোর্ড অব কাউন্সিলার্স’ মনোনীত কোনও একজন কাউন্সিলারকে। অর্থাৎ বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনের ক্ষেত্রে কাউন্সিলারদের সরাসরি কোনও ভূমিকা থাকবে না।
পঞ্চায়েত এলাকাতেও একই নিয়ম মানতে হবে
কলকাতা পুরসভাতেও এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।কারণ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ‘টক টু মেয়র’ এর অনুষ্ঠানে এমন একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করানোর ক্ষেত্রে একই নিয়ম মানতে হবে। পঞ্চায়েতগুলির নির্মাণ তথ্য পুরোটাই নবান্নের স্ক্যানারে নিয়ে আসা হবে। পুর ও নগর উন্নয়ণ দফতরের সূত্রের খবর, এই নিয়ম কার্যকর হলে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে না। অফিসারদের তলব করা যাবে। আর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হবে।