সহেলি মিত্র, কলকাতা: আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে বাংলার সরকারি আধিকারিকদের। সময়ের মধ্যে বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Bengal DA Case) কাছে আরও ৬ মাসের সময় চেয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর কেন সরকার এই টাকা এখনই দিতে পারছে না সে বিষয়ে একের পর এক যুক্তি দেওয়া হয়েছে। কী সেই যুক্তি চলুন জেনে নেবেন।
বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারের কিছু যুক্তি
বিগত কয়েক বছর ধরে ডিএ নিয়ে টালবাহানা চলছে। এই মামলায় শুধুই আসছে তারিখ পে তারিখ। ফলে ক্ষোভও চরমে উঠছে সরকারি কর্মীদের। এসবের মধ্যেই সরকারের যুক্তি, মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা নিয়োগকর্তার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, এটি কোনও বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। সরকার মনে করে যে ডিএ প্রদান করার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এবং এটিকে বাধ্যতামূলক হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। পে কমিশনের সুপারিশগুলি রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের উপর আইনত বাধ্যতামূলক নয়। সরকার তার আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে পারে, কিন্তু এটি করতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের সোনায় সোহাগা, অনেকটাই কমল দাম! রুপো নিয়েও সুসংবাদ! আজকের রেট
শুধু তাই নয়, সকলে চাইলেই কেন্দ্রীয় হারে সকলকে DA প্রদান করা যায় না। এই দাবি অন্যায্য। এটি সংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর লঙ্ঘন করবে। রাজ্য নিজের সামর্থ অনুযায়ী দেবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে বিপুল সংখ্যক কর্মচারী এবং দীর্ঘ সময় ধরে বকেয়া থাকার কারণে এই মুহূর্তে বকেয়া মেটানো একটি বিশাল আর্থিক বোঝা। এই বকেয়া মেটানোর জন্য রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ নিতে হবে, যার জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন প্রয়োজন।
সুপ্রিম কোর্টে টাকা জমা রাখার আবেদন
জানলে অবাক হবেন, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে প্রস্তাব দিয়েছে যে তারা বকেয়া ২৫% অর্থ সরাসরি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা রাখতে চায়। সেক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি, যদি রাজ্য এই মামলায় জিতে যায়, তাহলে লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদি রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়, তাহলে আদালত থেকেই কর্মচারীদের টাকা বিতরণ করা হবে।
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কর্মীদের নেতা
সরকারি নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় ফেসবুক বার্তায় লেখেন, ‘সরকার স্যাটের অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএ’র নির্দেশাবলি তৈরি করার বাহানা দিয়ে টাইম কিলড করতে ছ’মাস সময় চেয়ে মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন করলো৷’ তিনি আরও লেখেন, ‘গতকাল (২৭.০৬.২৫) শুক্রবার ২৫% বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার শেষ দিন ছিল৷ (১৬.০৫.২৬ অর্ডার ডেট থেকে শেষ দিন ২৭.০৬.২৫ ছ’সপ্তাহ) ঠিক বেছে শেষ দিনটি নির্বাচন করে এম.এ পিটিশন ফাইল করে ছ’মাস সময় চাওয়াটা যে মামলাটিকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করার চক্রান্ত তা একটি দুগ্ধপোষ্য শিশুও বোঝে৷ মাননীয়া আপনাকে বলছি, বকেয়া ডিএ না পাওয়ার যন্ত্রনায় অবসর প্রাপ্ত কর্মচারিদের দীর্ঘশ্বাস আপনাকে প্রতিপদে ভুগতে হবে৷’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |