কলকাতাঃ বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ঘিরে দিকে দিকে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও ট্রেন, তো কোথাও এই বনধের জেরে ব্যাহত হয়েছে বাস পরিষেবা। এদিকে বনধকে সামাল দিতে ময়দানে নেমেছে পুলিশ থেকে শুরু করে র্যাফ। এবার এই বনধ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় এল মেগা ট্যুইস্ট।
বিজেপির বনধ ঘিরে উত্তেজনা
গতকাল মঙ্গলবার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর এই অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তবে বেলা গড়াতে না গড়াতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়া, সাঁতরাগাছি এবং হাওড়া ময়দান চত্ত্বরে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামানের ব্যবহার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বহু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে আজ ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে বাংলাজুড়ে। আর এই বনধ ঘিরে দিকে দিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে বহু মানুষ আজকের এই বনধে সামিল হয়েছেন।
হাইকোর্টে মামলা
আজ বনধের বিরোধীতার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এক আইনজীবী। যদিও এই বিষয়ে কিছু শুনতে চাইল না আদালত। উল্টে আবেদন খারিজ করে দিয়ে আইনজীবীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপির ডাকা বনধকে বেআইনি ঘোষণা করার আবেদন খারিজ করে দেয়। জনস্বার্থ মামলায় ভুল তথ্যের কারণে আবেদনকারীকে আদালতে কোনও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অনেকটাই তৈরি হয়েছে রাস্তা, খুব শীঘ্রই কলকাতা থেকে সড়কপথে যাওয়া যাবে ব্যাংকক-মিয়ানমার
হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সঞ্জয় দাস নামের এক আইনজীবী। বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি কেবল আইনজীবীর নাম শোনা মাত্রই এই মামলাটি খারিজ করে দেন। প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, এই আইনজীবীই এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ঘর থেকে ‘পুলিশি ইন-অ্যাকশনের’ মামলা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।