প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রাইমারি আপার প্রাইমারির পর এবার মাদ্রাসাতেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলের মধ্যে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক নেতা মন্ত্রীকে। এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে হাইকোর্টে। আর এই আবহে এবার মাদ্রাসাতেও শিক্ষক নিয়োগ (Madrasa Teacher Recruitment) নিয়ে অন্তর্বতীকালিন স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একাধিক শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জরুরি ঘোষণা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেই বছর সপ্তম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট-এর মাধ্যমে সম্ভাব্য মোট ১৭২৯টি শূন্যপদে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবং সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যার মধ্যে একটি হল মেইন পরীক্ষা, যা ৯০ নম্বরের এবং অপরটি হল ইন্টারভিউ যা ১০ নম্বরের। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতেই মেধাতালিকা প্রস্তত করা হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের ৬১৪টি মাদ্রাসায় আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আসলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠে যে ২০২৩-এ মাদ্রাসা নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয় তাতে চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার যেই চূড়ান্ত তারিখ বলে দেওয়া হয়েছিল, তারপরেও নাকি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা শিক্ষক নিয়োগে অংশগ্রহণ করেছেন, যা অনৈতিক। তাই এবার সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। কয়েকজন মামলাকারীর দাবি পুরো প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণ করা হয়েছে। তাই এই অনৈতিক কাজ গোপনে চলছে।
আরও পড়ুনঃ ছুটিতে কোপ! বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্য সরকারের, যদিও অখুশি নন কর্মীরা
স্থগিতাদেশ আদালতের
জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, সেই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এর ডিভিশন বেঞ্চে। যেখানে গোটা মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত নানা তথ্য ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি এক বিস্ফোরক নির্দেশ দিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, “এবার মাদ্রাসায় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।”অর্থাৎ আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো ফল প্রকাশ করা যাবে না। যার ফলে বেশ চাপের মুখে চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ১ মে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।