হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের তোরজোড় রাজ্য সরকারের

Published on:

kolkata highcourt

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: শিক্ষকের অভাবে স্কুলে ছাত্ররা ভর্তি হতে পারছে না! ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের লোয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকড়া জুনিয়র হাইস্কুলে। একসময় যে স্কুলে ১৫০ থেকে ২০০ জন ছাত্রছাত্রী পড়তো, আজ সেই স্কুলে গত একবছর ধরে কোন নতুন ছাত্র ভর্তি হচ্ছে না। কারণ একটাই, শিক্ষকের অভাব। স্কুল বন্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তারা বারবার প্রশাসনের কাছে স্কুল চালু করার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সমাধান মেলেনি। যার ফলে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তারা।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ

জনস্বার্থে করা এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ থাকবে। এটা কোন ভাবেই মানা যায় না।

আদালত মনে করছে, স্কুল বন্ধ থাকলে এলাকার বাচ্চারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বহু ছাত্র-ছাত্রী ৪ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেতে পারছে না। ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে আদালত তড়িঘড়ি শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে আশেপাশের স্কুল থেকে হলেও শিক্ষক নিয়ে এসে স্কুল চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ

হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর রাজ্য সরকারও এই স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল দেয়। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তিনজন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে। এছাড়াও অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আশেপাশের স্কুল থেকে শিক্ষক স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। শিক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই স্কুলে পুনরায় ভর্তি শুক্রিয়া শুরু হবে। যাতে কোন শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ এ মাসেই পরীক্ষা, কবে চালু হচ্ছে এয়ারপোর্ট থেকে এসপ্ল্যানেড, হাওড়া মেট্রো? সুখবর দিল কর্তৃপক্ষ

আদিবাসী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ রক্ষা

উল্লেখিত স্কুলের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী তপশিলি জনজাতিভুক্ত পরিবারের। তাদের পরিবারের পক্ষে বাচ্চাদের দূরের স্কুলে পাঠানোর সামর্থ্য নেই। স্কুল বন্ধ থাকলে তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে এবং অনেকেই হয়তো ছোট বয়সেই শিশুশ্রমিক হিসেবে কাজ করবে। আর সেই কারণেই গ্রামবাসীরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর গ্রামবাসীদের মনে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। এখন কবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় এবং স্কুল পুনরায় খোলে, সেদিকেই নজর সবার।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group