কলকাতাঃ বর্ষা আসছে। আর এই সময়ে আম হবে না তা কি হতে পারে! এখন আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের মরসুম। এখন অনেকেই আছেন যারা এমনি খাবার না খেয়ে ফল খাওয়ার প্রতি ঝুঁকছেন। রাতে হোক বা দুপুরে পাতে যদি আমের এক টুকরো পরলেই সকলের মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এখন বাজারে ছেয়ে গেছে হিমসাগর থেকে শুরু করে ল্যাংড়া, সিঁদুরে আম, ফজলি আম ইত্যাদি। তবে আজ কথা হবে হিমসাগর আম নিয়ে।
হিমসাগর আম নিয়ে আশঙ্কা চাষিদের
আগামী ৮ জুন রয়েছে জামাইষষ্ঠী। আর এই বিশেষ দিনে সাধ করে শাশুড়িরা জামাইয়ের পাতে আমের এক টুকরো দিতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই মরসুমে আদৌ সেই ইচ্ছাপূরণ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে হিমসাগর আম নিয়ে সকলের ইচ্ছা খান খান হয়ে যেতে পারে। বাজারে নতুন করে হিমসাগরের আকাল দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চলতি বছরে কালনা সহ সারা বাংলায় আমের ফলন এমনিতেই কম হয়েছে। তার ওপর দোসর হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল।’ গাছ থেকে অনেক আম পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত আম চাষিদের।
আমের ফলন কম
যারা আম খেতে ভালোবাসেন বা আম নিয়ে যারা খোঁজ রাখেন তাঁরা জানবেন কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী-২, পূর্বস্থলী-১, এবং কালনা-২ ব্লকে বিঘার পর বিঘা আম চাষের জমি রয়েছে। রয়েছে শয়ে শয়ে বাগান। কিন্তু এতকিছু থাকলে কী হবে, মনে শান্তি নেই কারোর। হিমসাগর ও অন্যান্য আমের ফলন প্রচুর হয়। কিন্তু এবারে হিমসাগর আম নিয়ে সকলের মাথায় হাত। বাজারে বর্তমানে হিমসাগর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও জামাইষষ্ঠীর দাম এক ধাক্কায় আরও অনেকটাই বাড়তে পারে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আর ছুটতে হবে না RTO, ১ জুন থেকে লোকাল ট্রেনিং সেন্টারেই মিলবে লাইসেন্স
এই বিষয়ে এক আমচাষি জানাচ্ছেন, ‘এবার এক হাজার গাছ লিজে নিয়েছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ গাছেই আম না-হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছি। বর্তমানে হিমসাগরের পাইকারি দর ৬০ টাকার মতো হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পরে আরও ভালো দর মেলার সম্ভাবনা থাকলেও রেমালে ক্ষতির আশঙ্কায় সব আম পেড়ে নিয়েছি। জামাইষষ্ঠীর সময়ে আমের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু আমাদের এলাকায় গাছে আর তেমন আম নেই। তাই জোগানের অভাবে আমের দাম আরও চড়তে পারে।’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |