সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ দুপুরে হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড় এক আতঙ্কের শহরে পরিণত হল। হ্যাঁ, জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত ONGC-র এক রাসায়নিক কারখানায় হঠাৎ ভয়াবহ আগুনে ছারখার হয়ে গিয়েছে ৫০০০ বর্গফুটের বেশি এলাকা। আগুনের লেলিহান শিখায় নিমেষের মধ্যে গোটা এলাকা ঢেকে যায় ধোঁয়ার মেঘে।
সূত্রের খবর, আগুনের সুত্রপাত ছোট্ট একটি কোণা থেকে। আর তা ক্রমশই ভয়ানক রূপ নেয়। একের পর এক বিস্ফোরণ, আগুনের লেলিহান শিখাকে আরো সতেজ করে তোলে। আর কূলকিনারা খুঁজে না পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ ও দমকল বাহিনীরা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
কীভাবে লেখেছিল আগুন?
আসলে সোমবার দুপুরে অস্বস্তিকার গরমের মধ্যে কাজ চালাচ্ছিল ONGC-র কর্মচারীরা। হঠাৎ কারখানার একটি অংশে আগুনের শিখা দেখতে পান কর্মচারীরা। আর সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। দৌড়ে শ্রমিকরা বেরিয়ে পড়েন কারখানার ভিতর থেকে। টানা বিস্ফোরণের শব্দ আসতে শুরু করে। কারণ খতিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে, কারখানায় মজুদ ছিল বিপুল পরিমাণের দাহ্য রাসায়নিক এবং তেল। হয়তো সেগুলিই আগুনের সুত্রপাত।
পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ১৫টি দমকল ইঞ্জিনের তৎপরতা
খবর পাওয়া মাত্রই ডোমজুড় থানার পুলিশ এবং দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জানা যাচ্ছে, ১৫টি দমকল ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আশেপাশের অঞ্চল থেকে জল সংগ্রহ করা হয় এবং কারখানা চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্মীদের নাভিশ্বাস ছুটে যায়। কারণ আগুন একেবারে বাতাসের মতো গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
কারখানার ভিতর থেকে শুধুমাত্র তীব্র ও হালকা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছিল। গোটা এলাকায় আগুন এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল যে, আকাশ ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে যায়। কারখানার কিছু দূরে শ্রমিকদের থাকার জায়গা। আর সেই জায়গা পর্যন্ত আগুন যাতে না পৌঁছায়, তার জন্য বিশেষ সতর্কতাও নেওয়া হয়।
এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই
তবে সব থেকে বড় সুখবর, এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি। সময়মতো সর্তকতা নেওয়ায় সকল শ্রমিক এবং কর্মীরা সুস্থভাবেই কারখানা চত্বর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ এবং দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।