আরেক কেলেঙ্কারি রেলের! হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকালে এবার যা হল, আতঙ্কে লাফ যাত্রীদের

Published on:

howrah-train

বাংলায় ট্রেন বিপর্যয় যেন থামতেই চাইছে না। এবারও বাংলায় এমন এক ঘটনা ঘটে যেটি দেখে এবং শুনে সকলেই থ হয়ে গিয়েছেন। এমনিতে ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। কিন্তু এই লাইফলাইনে যদি কিছু গণ্ডগোল হয়ে যায় তাহলে যাত্রীদের হয়রানির শেষ থাকে না। যেমনটা এখন ঘটছে বাংলার নিত্য রেলযাত্রীদের সঙ্গে। তবে এবার হাওড়া ডিভিশনের একটি রুটে বিরাট ঘটনা ঘটে গেল। হল রক্তারক্তি কাণ্ডও।

গার্ড ছাড়াই ছুটল ট্রেন

জানলে শিউরে উঠবেন, গার্ড ছাড়াই বেশ কিছুটা ছুটল লোকাল ট্রেন। আদতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকালে। রাতের শেষ ট্রেন যাতে মিস না হয় তার জন্য সকলের মধ্যেই এক আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। ফলে অনেক সময়েই দিক্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে ছুটে চলেন যাত্রীরাও। রবিবার রাতেও সেই ঘটনাই ঘটে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১.৪৫ মিনিটের হাওড়া-ব্যান্ডেল রাতের শেষ লোকাল ধরার জন্য হাওড়া স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের ভিড় ছিল।

কিন্তু আচমকাই অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা করা হয়, সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১১.৪৫ মিনিটের হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়বে। এমনকি ডিসপ্লে বোর্ডেও তা দেখানো হয়। ব্যস আর কি, ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। কিন্তু ১১.৩৪ মিনিট নাগাদ আচমকা গার্ড ছাড়াই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। আর তা দেখে সকলের স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পরেন যাত্রীরা। এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে কিছু যাত্রী ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফিয়ে পড়েন। এমনকি মহিলা কামরা থেকে মারণ ঝাঁপ মারেন দুজন মহিলা যাত্রী। এতে দুজনেই আহত হন। এরপর সকলের চিৎকার চ্যাঁচামেচির পর ট্রেনটি থামানো হয়।

ক্ষোভে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা

স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। সকলে রেলকেই দায়ী করেছেন। যদিও অন্য সুরে কথা বলেছে পূর্ব রেল। রেল যাত্রীদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে যে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল সেটি আদতে কারশেডে যাচ্ছিল। আর যাত্রীরা ভুল করে সেই ট্রেনেই উঠে পড়েন। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রেলের ঘোষণা ও ডিসপ্লে বোর্ডে ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে এই ঘটনা হয়। রেল জানিয়েছে, ট্রেনের ডিসপ্লে বোর্ড লক্ষ্য না করায় এই বিপত্তি। পালটা যাত্রীদেরও বক্তব্য, শেষ লোকাল যাত্রীরা দৌড় ঝাঁপ করে এসে ট্রেন ধরে, ঘোষণাই কানে শুনেই দৌড়াতে হয়। ফলে ট্রেনের বোর্ড দেখার সময় থাকে না।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X