প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে মাধ্যমিকের পর বেরোল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল (HS Result 2025)। এই বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩ মার্চ, এবং শেষ হয়েছিল ১৮ মার্চ। প্রায় ৫০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এই ফলাফল। শিক্ষা সংসদের রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে এই বছর মোট ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৪৮ জন ছাত্র পরীক্ষায় বসেছিল। যার মধ্যে পাশ করেছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৬ জন। অর্থাৎ এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। যা গত ১০ বছরে বিরাট সাফল্য বাংলার কাছে।
বিজ্ঞানী হতে চায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী তুষার
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এদিন জানিয়েছেন ২০২৫ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে রয়েছে ৭২ জন। আর সকলের মধ্যে প্রথম হলেন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের রূপায়ন পাল। যার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে কোচবিহারের বক্সিরহাট হাইস্কুলের তুষার দেবনাথ। তার প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়িয়েছে ৪৯৬ তে। যা টপারের তুলনায় মাত্র ১ নম্বর কম। এদিকে এত বড় পরীক্ষায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেও যেন চিন্তামুক্ত হচ্ছে না তুষারের পরিবার। আর তার মূল কারণ হল অর্থাভাব। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার দক্ষতা তুষারের এতটাই তীক্ষ্ম যে প্রত্যেক ক্লাসে সে খুব ভালো ফলাফল করত। ছেলের স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন আদেও পরিবার পূরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
স্বপ্নপূরণে বাধা অর্থাভাব
জানা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী তুষার দেবনাথ এর বাবা একজন সবজি বিক্রেতা। কোনো রকমে সংসার চলে তাঁদের। এমন পরিস্থিতিতে ছেলের বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার স্বপ্ন কীভাবে তিনি পূরণ করবেন তাই নিয়ে দিনরাত চিন্তা করছেন তুষারের বাবা। পরীক্ষায় এত ভালো ফলাফল করা নিয়ে এদিন তুষারের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, “চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু এত ভাল ফল হবে আশা করিনি। বিজ্ঞানী হতে চাই। নিট, জেইই মেনস দিয়েছি। যেখানে সুযোগ পাব পড়ার ইচ্ছে রয়েছে’’। যদিও তুষার বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এ পড়তে চান। অন্যদিকে তাঁর বাবা বলেন, ‘‘ছেলে তো বিজ্ঞানী হতে চায়, কিন্তু কী ভাবে পড়াব! স্কুল যদি সাহায্য করে দেখি’’।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের কোষাগারে ৪০০০ কোটির ভাটা, কেটে ফেললেও DA দিতে পারব না! বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে তুষারের পরিবারে একমাত্র তাঁর বাবাই রোজগার করেন। তাঁর উপার্জিত টাকাতেই কোনরকমে সংসার চলে। বাড়িতে বাবা-মা ভাইকে নিয়ে থাকে তুষার। মা অঞ্জনা দেবীও গৃহবধু। ছোট ভাই তরুণ দেবনাথ সদ্য মাধ্যমিক দিয়েছে। পড়াশোনা ছাড়াও তিশার খেলাধুলো করতেও বেশ ভালোবাসে। এমনকি উচ্চমাধ্যমিকের সময়েও খেলাধূলা চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করলেও তাঁর উচ্চ শিক্ষায় আর্থিক অনটন বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না তাই নিয়ে বেশ চিন্তিত তুষারও।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |