বন্ধ হবে ভাতা! চিকিৎসকদের ফাঁকিবাজি রুখতে নয়া নিয়ম জারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

Published on:

west bengal doctors

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা হয় হট্টগোল এবং সমস্যার কথা বারংবার উঠে আসে। অভিযোগ ওঠে কখনও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঠিক কাঠামো নেই, কখনও আবার চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাঠামো নেই আবার কখনও এও শোনা যায় যে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। কিছুদিন আগেই গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, গ্রামীণ হাসপাতালগুলোয় ঝাঁ চকচকে পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা থাকেন না। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। আর সেই অভিযোগ প্রশাসনের কাছে উঠে আসতেই এবার নড়ে চড়ে বসল নবান্ন।

সিনিয়র ডাক্তারদের কড়া নির্দেশ

WhatsApp Community Join Now

নিয়ম অনুযায়ী ‘চাকরি’র চুক্তি হয় তিন বছরের। আর বন্ড সার্ভিসের অন্যতম শর্ত অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে গ্রামে যেতে বাধ্য থাকেন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা। অথচ, ডাক্তার হয়ে রোগী সেবা একমাত্র লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও গ্রামে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে বারবার ‘ফাঁকি’ দিতে দেখা যায় অনেক চিকিৎসকদের। যা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। তবে আর নয়। এবার নতুন বছরেই সেই সমস্যা নির্মূল করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে যদি চুক্তিভিত্তিক সিনিয়র ডাক্তাররা গ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা দিতে না যান, তাহলে এবার তাঁদের বেতনই বন্ধ হয়ে যাবে।

ভাতা বন্ধের হুঁশিয়ারি সিনিয়র চিকিৎসকদের

সূত্রের খবর, গত ২৩ ডিসেম্বর, নবান্নের নির্দেশে স্বাস্থ্যদপ্তর এর তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর সেই নির্দেশিকায় রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাউন্ট অফিসারদের উদ্দেশে এক কড়া পদক্ষেপ এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল বা গ্রামীণ হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ে চুক্তিভিত্তিক সিনিয়র চিকিৎসকরা না গেলে, বন্ড সার্ভিসের তিন বছর এসআর’রা যে মাসে ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে ভাতা পান, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এইমুহুর্তে স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীনে কর্মরত সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০-র বেশি। তাঁদের ক্ষেত্রেই বর্তাবে এই নয়া নিয়ম।

কিছুদিন আগে চুক্তিভিত্তিক এমন ৩১জন চিকিৎসকের কর্মকাণ্ডকে চিহ্নিত করে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বেশি থাকায় মাফ চেয়ে সেই ক্ষতিপূরণের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। পরে যাতে এই ভুল বড় আকার না নেয়, সেই কারণে নতুন বছরের আগে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে স্পস্ট বক্তব্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের এক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, বন্ড সার্ভিসের নিয়ম মতো জনস্বার্থে গ্রামে না গেলে ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি, যেসব মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা পড়ছেন, সেখানকার অধ্যক্ষ- উপাধ্যক্ষরাও শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।

সঙ্গে থাকুন ➥
X