পড়ুয়াদের হতাশা দূর করতে নয়া উদ্যোগ IIT খড়্গপুরের! আসছে ‘বিকল্প মা’

Published on:

IIT Kharagpur

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সারা পৃথিবী জুড়ে দিনের পর দিন ছাত্র-ছাত্রীদের মনে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ‌্য সম্পর্ক নিয়ে। মানসিক বিষণ্ণতা, হতাশা, অনিশ্চয়তা এবং নানা ধরনের আতঙ্কর বাড়বাড়ন্ত ক্রমেই গিলে খাচ্ছে তাঁদের। আর তার সঙ্গে মিশছে লেখাপড়ার চাপ। এবার সেই একাকীত্ব কাটাতে আইআইটি খড়গপুর নিয়ে এসেছে বিকল্প মায়ের পরিকল্পনা।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

কী বলছেন IIT খড়্গপুরে নতুন ডিরেক্টর?

সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে IIT খড়্গপুরে নতুন ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে “গত কয়েক মাসে আইআইটিতে ছাত্রদের আত্মহত্যার ঘটনায় এক খারাপ প্রভাব পড়ছে সকলের মনে। এ বছরেই তিনজনের আত্মহত্যার সাক্ষী হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত মে মাসেই একজন আত্মহত্যা করেন ক্যাম্পাস চত্বরে। একের পর এক মেধাবী পড়ুয়াদের অকালে হারাচ্ছি, তাতে আমি ও আমাদের সকল শিক্ষক খুবই আঘাত পেয়েছি। তাই এবার সেক্ষেত্রে এক সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে পক্ষপাতিত্ব নিচে প্রতিষ্ঠান।”

নেওয়া হবে একাধিক উদ্যোগ!

এদিন তিনি জানিয়েছেন যে, “বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ছাত্রদের এই আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে অবসাদ এবং একাকীত্ব। তাই ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এক দারুণ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রদের জন্য ইনস্টিটিউট একটি ‘স্টুডেন্ট ওয়েলকাম কমিটি’ গঠন করেছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আর এই কমিটির প্রধান ভূমিকা হবে, নতুন বছরের ছাত্রছাত্রীদের ও তাঁদের বাবা-মাকে মানসিকভাবে সাহায্য করা। ক্যাম্পাসকেই যেন ঘরের মতো মনে করতে থাকেন। এছাড়াও নবাগতদের যে যে সমস্যা হয়, এই কমিটি সেসব বিষয়েই নজর রাখবে।”

প্রকৃত মায়ের মতোই গাইড!

এই প্রসঙ্গে IIT খড়গপুরের তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘ক্যাম্পাস মাদার’ নামে যে কর্মসূচি চালু হচ্ছে সেখানে মহিলা স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও শিক্ষিকাদের আলাদা করে বিকল্প মা হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে কোনো ছাত্র মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে না পরে, মায়ের মতই আবেগ, স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে শক্তি জোগাবেন এবং প্রয়োজনে তাঁদের কোন পথে চলতে হবে, তা একজন প্রকৃত মায়ের মতোই গাইড করবেন।

কেন এই উদ্যোগ?

জানা গিয়েছে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সব মহিলাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাস্তব জীবনে মা। তাই তারা জানেন কীভাবে নিজেদের সন্তানকে লালনপালন করেছেন। সেই কারণে এই মায়েরা জানেন ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন একাকিত্বের সময়ে তাদের কীভাবে পাশে দাঁড়াতে হয়।

ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী মনে করেন ছেলেমেয়েরা যেভাবে স্কুলের গণ্ডি অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে বাবা-মায়ের যত্নে প্রতিপালিত হয়েছে, তেমনভাবেই তারা যে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েই একদিনে নিজের মতো বড় হয়ে উঠবে, এটা আশা করাই ভুল। তাই এই উদ্যোগ।

আরও পড়ুন: স্টেশনে প্রসব যন্ত্রণা! ছুরি, চুলের ক্লিপ দিয়েই যা করলেন চিকিৎসক, ধন্য ধন্য করছে সবাই

সবমিলিয়ে এই কর্মসূচিতে বিকল্প মায়েরা প্রকৃত মায়ের মতই যত্ন করবে। কেউ অবসর সময় কাটানোর জন্য কোনও পড়ুয়াকে চা-কফি খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারেন। বা ডিনারে নিমন্ত্রণ করতে পারেন। সেখানে সেই পড়ুয়ার মানসিক সমস্যা বোঝা ও তা মেটানোর চেষ্টা করবেন তাঁরা।

অথবা আড্ডা, হাসি-মশকরার মাধ্যমে তাদের মনের উদ্বেগ, একাকিত্ব দূর করতে পারেন। তাহলেই সকের মানসিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হলেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেওয়া হয়নি।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group