প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দেখতে দেখতে নভেম্বর মাস পড়েই গিয়েছে। হাতে একদম বেশি সময় নেই। পরের মাসেই রাজ্য সরকার প্রথম কিস্তিতে আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) টাকা প্রদান শুরু করবে উপভোক্তদের। তাইতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আবাস যোজনার বিষয় নিয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম উঠছে বাদ পড়া উপভোক্তাদের। আবার তালিকায় অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম তোলা নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে জনগণের মনে। আর এই আবহেই এবার ভূমিহীনদের জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
ভূমিহীনদের জন্য বড় পদক্ষেপ!
অনেক গরীব মানুষ রয়েছেন যাঁদের জমি নেই কিন্তু এদিকে আবার আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। তাঁদের ক্ষেত্রে এবার সরকার এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এই সকল উপভোক্তাদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে। তারপর বাড়ি তৈরি করার টাকা তুলে দেওয়া হবে। আর এভাবেই গরিব মানুষের মাথার ছাদ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে এর আগেই জানানো হয়েছে যে এই বছরের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখের মধ্যে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের টাকা দেওয়া হবে প্রথম কিস্তির। তাই সেই নিরিখে জেলায় জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষাকে ঘিরে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও বড় উদ্যোগ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে একশো শতাংশ টাকা দিচ্ছে বাড়ি তৈরি করার জন্য। যাতে কোনও ভূমিহীন পরিবারও এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন সেটা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এদিকে রাজ্য সরকারের মুখে বার বার উঠে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনার কথা। দুবছর ধরে এই প্রকল্পের টাকা কেন আটকে রাখা হচ্ছে এই নিয়েও তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও বড় উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের কাছে বারবার চিঠি লিখে, দরবার করে কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কেন্দ্রীয় সরকারের অপেক্ষায় না থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকাও রাজ্যের কোষাগার থেকে দিতে চলেছে। তাতে মানুষের সমর্থনও পেয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে আবাস যোজনা প্রকল্পে ভূমিহীনদের জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত পরিবার আবাসের জন্য যোগ্য অথচ ভূমিহীন বলে টাকা পাচ্ছেন না তাঁদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হবে নিকট স্থানে সরকারের খাস জমি থাকলে তাঁদের যাতে জমি দেওয়া হয়।’