শিক্ষক থেকে পড়ুয়া, ছাতা মাথায় দিয়েই চলছে ক্লাসরুম! বেহাল দশা হুগলির স্কুলের

Published:

hooghly school
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিনে মোহা আড়ম্বরে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকেছে বর্ষা। আর বর্ষা আসতেই বেহাল অবস্থা স্কুলে। টিনের চাল ভেদ করে অনবরত টুপটাপ করে জল পড়েই চলেছে। ক্লাসরুম প্রায় ভেসে যাওয়ার মত অবস্থা। কিন্তু সব জেনেও প্রশাসন চুপ। হুগলির (Hooghly) পান্ডুয়ার পাঁচপাড়া প্রাথমিক স্কুলের এই ছবি ভাইরাল হতেই তাই এবার শোরগোল শুরু হল এলাকায় এলাকায়।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় সূত্রের খবর, ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার বেহাল অবস্থা দেখা গিয়েছে হুগলির পান্ডুয়ার খন্যান্নের বেলুন ধামাসিন পঞ্চায়েতের পাঁচপাড়া প্রাথমিক স্কুলে। সেখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট চারটি ক্লাসরুম আছে। এবং মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৮ জন। চারটি ক্লাসরুমের মধ্যে দুটি টিনের চালের ঘর। সেই ঘরের চালভেদ করে জল পড়ছে।

সেই ছবি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তার পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। আর তাতেই শুরু হয় রাজনৈতিক বাকবিতন্ডা।

কী বলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

স্কুলের এই হাল নিয়ে প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত গুপ্ত বলেন, “২০২৩ সালে আমি যখন স্কুলে যোগ দিয়েছিলাম তার আগে থেকেই টিনের ঘর দুটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। এই নিয়ে বারংবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার দুটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছে।”

এমনকি তিনি এও স্বীকার করেন যে, গত বছর ঘর সংস্কারের জন্য এস্টিমেট পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেই সংস্কারের কাজ এখনও কিছুই হয়নি। এইভাবে পড়ুয়াদের স্কুলে ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বিজেপি তৃণমূল তরজা

এদিকে রাজ্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল। তিনি বলেন, “রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল কী, তা পান্ডুয়ার ওই স্কুল দেখে অনুমান করা যায়। শিক্ষা পরিকাঠামো খাতে যা কেন্দ্র দেয়, সব লুঠপাট হয়ে যাচ্ছে।”

যদিও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দেয় পান্ডুয়ার তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপির মুখে এসব কথা মানায় না। ওরা যে রাজ্যে আছে আগে সেদিকে তাকাক, তারপর বাংলার কথা বলবে।”

আরও পড়ুন: ‘বিপুল ক্ষতি হবে TMC-র, ভোটে ভয়ঙ্কর খেলা দেখাবে মুসলিমরা’! বিস্ফোরক ত্বহা সিদ্দিকি

কী বলছেন বিডিও অফিসার?

এই ঘটনায় সিপিএমও চুপ নেই। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা শিক্ষক আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, “বাচ্চার থেকে বাচ্চার মা-বাবাকে খুশি করতেই বেশি মনোযোগ রাজ্যের। ফলে শিক্ষা বেহাল।” এই প্রসঙ্গে পান্ডুয়ার বিডিও অফিসার শেবন্তী বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অন ক্যামেরায় কিছু বলতে চাইছিলেন না।

পরে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে পাঁচপাড়া স্কুলের জন্য মোট ১১ লক্ষ টাকার এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। এমনকি স্কুলে দুটি ত্রিপল পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে ব্লক প্রশাসন।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join