প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যে হিন্দু সংস্কৃতির এক আলাদা এবং ঐতিহ্যপূর্ণ দিক রয়েছে। যার দরুন দেশ বিদেশে গড়ে উঠেছে একাধিক মন্দির এবং উপাসনাস্থল। যার মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল বেলুড় ও দক্ষিণেশ্বর। তাই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা যথাযথ রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ পুলিশের কাছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে এবার সেই মন্দিরের দায়িত্ব নিয়ে বড় রদবদল করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণেশ্বরকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় আনা হবে!
আসলে বেলুড় রয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্য়ে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর রয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে।কিন্তু ভৌগোলিকভাবে অবস্থানের দিক থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দির হাওড়ার অনেক কাছে রয়েছে। মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। ওপারে হাওড়ার বালি, বেলুড়। তাই, সময় দূরত্বের জন্য অনেক সময় অনেক সমস্যা তৈরি হয়। সেকারণেই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে “বেলুড় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণেশ্বর আবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর বারাকপুর কমিশনারেটের এলাকা থেকে অনেক দূর। তাই সমস্যা দূর করতে দক্ষিণেশ্বরকেও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় আনা হতে চলেছে।”
বৈঠকে উঠে এল স্কাইওয়াকের প্রসঙ্গও
তবে শুধু মন্দির নয়, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে তখন নিয়ে আসা হবে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কিত দুটি স্থানই। এছাড়াও এদিনের বৈঠকে দক্ষিণেশ্বরের প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে আসে সেখানকার স্কাইওয়াক এর প্রসঙ্গ। এদিন দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকেও নজরদারি করতে বলেন তিনি। সামনেই কালীপুজো। উৎসবের সময় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখার কথাও বলেন মমতা। সরাসরি বলেন যে, “স্কাইওয়াক ডেলি মনিটরিং করতে হবে। স্কাইওয়াকে যাতে হঠাৎ করে কোনো হকার বা কেউ যেন বসে না পড়েন, তা পুলিশকে নজর রাখতে হবে।”
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ আমি রাজীবকে বলব, তুমি এত থানার কথা বোলো না। তুমি শুধু পুলিশ নিয়ে ভাবছ। আমাকে সারা রাজ্য নিয়ে ভাবতে হয়। দক্ষিণেশ্বরকে হাওড়া কমিশনারেটের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।”