Indiahood-nabobarsho

CBI-কে কাঠগড়ায় তুলে আদালতে ৫৫ প্রশ্ন, সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড নয় হাইকোর্টে অন্য দাবি নির্যাতিতার পরিবারের

Published on:

calcutta high court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দীর্ঘদিন টানা লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালত আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়কে অবশেষে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক অনির্বাণ দাস। কিন্তু ওইদিন সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি। এরপর ২০ জানুয়ারি বিচারক সঞ্জয় রায় এর সাজা ঘোষণা করে। এবং সাজা হিসেবে তাঁর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এবং আদালতের তরফে বলা হয় সঞ্জয় রায়ের অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় ‘। তাই সেক্ষেত্রে ফাঁসির ঘোষণা করা হয়নি। এরপরেই এই নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবং তাঁর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হাইকোর্টে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে মামলা তোলা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। গত শুক্রবার রাজ্য সরকার এবং CBI এর তরফ থেকে দায়ের করা এই দুটি মামলার শুনানির ঘোষণা করা হয়েছে আজ অর্থাৎ সোমবার। আর সেই মতই আজ কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি চলছিল। উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা মা। সেখানেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে উল্টো সুর ভেসে আসল। সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে এবার আপত্তি জানাল নির্যাতিতার পরিবার। যা শুনে অবাক গোটা আদালত চত্বর।

সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছে না নির্যাতিতার পরিবার!

কিছুদিন আগে সঞ্জয় রায়ের শাস্তি নিয়ে নির্যাতিতার পরিবার অন্য কথা জানিয়েছিল। যখন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাটাকে বিরলতম ঘটনা হিসেবে পর্যবেক্ষণ না করে সঞ্জয়ের আমৃত্যু যাবজ্জীবনের ঘোষণা করেছিল তখন নির্যাতিতার পরিবার প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, ‘আমার মেয়ে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার হিসাবে কর্তব্যরত অবস্থায় চলে গেল। এটি যদি বিরলতম না হয়, তবে কোনটা? সিবিআই-এর তদন্তে ব্যর্থতার কারণেই এমনটা হল।’ এমনকি সঞ্জয়ের ফাঁসির জন্যেও তাঁরা দাবি তুলেছিল। তবে এবার সেই দাবি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গেল।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

CBI এর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ পরিবারের

আজ, কলকাতা হাইকোর্টে নির্যাতিতার আইনজীবী মারফৎ পরিবার বিচারককে জানিয়েছেন যে, ‘আমরা সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চাইছি না’। এখন এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কি রায় দেয় সেদিকেই নজর সবার। এছাড়াও পরিবারের তরফ থেকে আরও জানানো হয় যে, ‘CBI কোনও কাজই করছে না। আমরা চাই সকল অপরাধীর নাম সামনে আসুক। শুধু তাই নয়, তাঁদের সকলের কঠোর শাস্তি হোক।’ এছাড়া নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন যে, ‘কলকাতা হাইকোর্টের উপর ভরসা আছে। আদালতের কাছে ৫৫ টা প্রশ্ন আমরা রেখেছি। এখন দেখার কী হয়। কতটা দূর যেতে পারে এই মামলা।’

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group