দু’বছর পর মিলবে টাকা! গ্রামীণ সড়ক যোজনা নিয়ে সুখবর বাংলার জন্য

Published on:

rural road scheme

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত এখন আর নতুন কিছু নয় সাধারণ মানুষের কাছে। প্রথম থেকেই একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা নিয়ে নানা অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হল আবাস যোজনার টাকা এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা। বহুদিন ধরে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে বরাদ্দ টাকা পাঠানোর জন্য চিঠি পাঠালেও কোনো রকম সদুত্তর দেয়নি কেন্দ্র। বরং উল্টে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ জানিয়ে দুই বছর ধরে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যের তরফে অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা টাকাও পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র।

গ্রামীণ সড়ক যোজনার বরাদ্দ টাকা দেবে কেন্দ্র!

WhatsApp Community Join Now

এই আবহে কেন্দ্রের ওপর আর ভরসা না করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এইমুহুর্তে রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় আটকে থাকা বরাদ্দ এবার কেন্দ্র পাঠাতে চলেছে। কয়েক দিন আগে আধিকারিক স্তরে কেন্দ্রের সঙ্গে নাকি রাজ্যের এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। তার পরেই এই আশা করা হচ্ছে রাজ্যের তরফে। যদিও বরাদ্দ আসছে কি না, এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে এখনই কোনও স্পষ্ট করেনি রাজ্য সরকার।

বর্তমানে পথশ্রী প্রকল্পের টাকাও রাজ্য নিজের পকেট থেকেই খরচ করে। শেষবার গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা এসেছিল ২০২২ সালে। সেইসময় প্রায় ৩৪৩ কোটি টাকা রাজ্যকে গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পে দিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও সড়ক যোজনার কাজের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র দিলেও বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হয়। তার পর থেকে ওই খাতে আর কোনো বরাদ্দ টাকা দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী কেন্দ্র বরাদ্দ টাকা শেষ পর্যন্ত রাজ্যকে দেয়, তাহলে বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা ওই খাতে পাবে রাজ্য সরকার।

কী বলছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী?

এবিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “প্রায় ছ’হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করার পরেও গত দু’বছর ধরে টাকা আটকে রয়েছে। দিন তিনেক আগে আধিকারিক স্তরে এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা হয়েছে কেন্দ্রের। টাকা ছাড়া হচ্ছে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। সোমবার নথি দেখলে বোঝা যাবে। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X