প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একবছর আগে কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া (SSC Case) নিয়ে যেই রায় দিয়েছিল, গতকাল সুপ্রিম কোর্ট সেই একই মামলায় এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল। বাতিল হয়ে গেল ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল। একধাক্কায় চাকরিহারা হয়ে পড়লেন ২৫,৭৫২ জন। আর এই আবহে নানা মহলে এইমুহুর্তে প্রশ্ন উঠে আসছে যে রাজ্যে সরকার কি তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিল নাকি আবার কোনো আইনি পথের সন্ধান করছেন এই সমস্যার সুরাহা পেতে? কিন্তু আদেও কি এর জন্য কোনো আইনি উপায় আছে? কী বলছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা?
কী বলছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ?
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গে রিভিশন পিটিশন এর কার্যকারিতা নিয়ে জানিয়েছেন, ‘পরবর্তীতে রিভিউ করারই একমাত্র সুযোগ আছে। তবে কেবলমাত্র সেটি টেকনিক্যালি ভুলে রিভিউ করা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রিভিউ করে এক্ষেত্রে কোনও লাভ হয় না। কারণ শীর্ষ আদালতের রায় দেওয়ার পর সংশোধনের সুযোগ খুব কম থাকে। তাই খুব কম দেখা যায় সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায় বদলাচ্ছে’। চাকরিহারাদের এইভাবে হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়াকেও খুবই দুঃখজনক হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘চাকরি চলে যাওয়াটা ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। এই ব্যাপারটা শীর্ষ আদালতের মনে করা উচিত ছিল। সৎভাবে যিনি চাকরি পেয়েছেন, তাঁর চাকরি চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। পরিবার কী খাবে, একটু সময় দেওয়া উচিত ছিল।”
অন্যদিকে শীর্ষ আদালতের এই রায়ে একদমই অখুশি আর এক বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র। সংবাদ প্রতিদিনকে তিনি বলেছেন, “এই মামলায় রিভিউ অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া আর কোনও গতি নেই। অতীতে সুপ্রিম কোর্টে অনেক অর্ডারের বিরুদ্ধেই রিভিউ অ্যাপ্লিকেশন করা হয়েছে, কিন্তু খুব কম মামলায় এক্ষেত্রে সাফল্য আসে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়ার সময় খোলা আদালতে বসে লিখে রায় দেয় না, শুধুমাত্র যে বেঞ্চ রায় দেয়, তারা প্রাইভেট চেম্বারে বসে সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এক্ষেত্রে এই মামলা পুনরায় সংশোধন খুব চাপের আছে।”
আরও পড়ুনঃ খাতা দেখেছিলেন বাতিল শিক্ষকরাও! পিছিয়ে যাবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ?
চাকরিহারাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ
এছাড়াও বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনিও বেশ দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে , “কয়েকজন খারাপের জন্য একইসঙ্গে ভালোদের বলি হয়ে গেল। এতদিনে চাকরি করে ফের নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার সেই মনোবল বা শরীর এখন কিছুই নেই অনেকের। গোটা ঘটনাটা ঘটল স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্যের ভুলের জন্য। এতজনকে সাফার করতে হল। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরেকটু সচেতন থাকলে আজ এই দিন দেখতে হত না চাকরীপ্রার্থীদের।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |