SSC মামলায় জেলে বন্দী, এবার আরও এক বড় ধাক্কা খেল কুন্তল ঘোষ 

Published on:

Kuntal Ghosh on Calcutta high court

বিগত লম্বা কিছু সময় ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। এই মামলায় অস্বস্তি যেন কাটতেই চাইছে না শাসক দল তৃণমূলের। লোকসভা ভোটের মুখে এই ইস্যু যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এসএসসি মামলায় বহু হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছে। আবার অনেক হেভিওয়েট জেলের ভেতরে রয়েছেন।। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ প্রমুখ।

WhatsApp Community Join Now

তবে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শিরোনামে উঠে এলেন কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষ। বিগত এক বছরেরও বেশি সময়ে ধরে তাঁরাও জেলে রয়েছেন। দুজনের বিরুদ্ধেই চাকরি দেওয়ার নাম চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা সেইসঙ্গে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করার মতো অভিযোগ রয়েছে। যাইহোক, বাংলার নতুন বছরে বড়সড় ধাক্কা খেলেন কুন্তল ঘোষ। আসলে গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে দুজনেরই ছিল জামিন মামলার শুনানি।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। নীলাদ্রি ঘোষ জামিন মঞ্জুর হলেও আদালতে ধাক্কা খান ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁকে জামিন দিতে অস্বীকার করে আদালত। যে কারণে আপাতত তাঁকে জেলেই থাকতে হবে। এদিকে এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানায়, কুন্তল ঘোষকে যদি জামিন দেওয়া হয় তাহলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। নীলাদ্রির প্রসঙ্গে সিবিআই জানায়, তিনিও এই নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন। ফলে সব মিলিয়ে দুজনের জামিনের বিরোধীতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে নীলাদ্রিকে জামিন দেয় আদালত কিন্তু কুন্তলকে ছাড়া হয় না।

সিবিআই-এর দাবি অনুযায়ী, টেটে অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করার জন্য অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেন কুন্তলেরা। বর্তমানে এখনও এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আগামী দিনে আরও বড় কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥